

বান্দরবান জেলা তথ্য অফিস এর আয়োজনে সাংবাদিকদের সাথে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক দিনব্যাপী “ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা” অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) জেলা সিভিল সার্জন কনফারেন্স কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা তথ্য অফিসার মো.আনোয়ার হোসেন।এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ফাউন্ডেশন এর উপ পরিচালক মো.সেলিম উদ্দিন,বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু,গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) হৃদয় মাহমুদ চয়ন প্রমূখ।এছাড়াও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন এসময় উপস্থিত ছিলেন।কর্মশালায় সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন,দুষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে টাইফয়েড রোগের জীবাণু ছড়ায়।সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা না হলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে।যেকারনে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।এই টিকা সম্পর্কে সঠিক তথ্য শিক্ষার্থীসহ সকল মহলের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে উপস্থিত সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন সিভিল সার্জন ডা.শাহীন হোসাইন চৌধুরী।এসময় তিনি, সাংবাদিকদের কার্যকর ভূমিকায় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি সফলের প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।সভায় সিভিল সার্জন জানান,এবার জেলায় ৩৮৪ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ১ লক্ষ ২১ হাজার শিশুকে টাইফয়েড এর টিকা দেয়া হবে।ইতিমধ্যে জেলায় ভেকসিন পৌঁছে গেছে।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে রেজিষ্ট্রশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।তিনি বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল পর্যায়ে এবং ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত কমিউনিটি লেবেলে টিকাদান কার্যক্রম চলবে।দুর্গম এলাকা গুলোতে টিকা দানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহনের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।এসময় জেলা তথ্য অফিসার মো.আনোয়ার হোসেন জানান, “শিশু,কিশোর- কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর আর্থিক সহায়তায় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি সফল করতেই আজকের কর্মশালার আয়োজন করেছে বান্দরবান জেলা তথ্য অফিস।এসময় তিনি,সকলকে একযোগে কর্মসূচি সফলে কাজ করার আহবান জানান।এদিন কর্মশালায় টাইফয়েড ক্যাম্পেইনে টিকা প্রদান কার্যক্রমের সময়কাল ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া,টিকাদান কেন্দ্র (স্থায়ী ও অস্থায়ী),টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ এবং জটিলতা,জরুরি অবস্থায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।সারাদেশে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশু-কিশোর এ টিকা পাবে।