

‘রক্তদানে হয় না ক্ষতি,চোখ ছুঁয়ে যাক চোখের জ্যোতি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় বান্দরবানেও জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস উদযাপিত হয়েছে।দিবসটি উপলক্ষ্যে রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার একইস্থানে গিয়ে শেষ হয়।পরে দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.আবু তালেব, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফা সুলতানা খান হীরামনিসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।উল্লেখ্য,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির উদ্যোগে দেশব্যাপী দিবসটি পালন করা হচ্ছে।বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান আন্দোলন এর পথিকৃৎ ‘সন্ধানী’।রক্তদানের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি মানুষের চক্ষু ব্যাংক হিসেবেও কাজ করে।মৃত্যুর আগে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত চক্ষুদানের বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করে থাকে সন্ধানী,যাতে ভবিষ্যতে কেউ ব্যবহার করতে পারে সেই চোখ।১৯৭৮ সালের ২ নভেম্বর ডিএমসিএইচ ব্লাড ব্যাংকে সন্ধানী প্রথমবারের মতো স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে।তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৫ সালে সন্ধানী আয়োজিত প্রথম স্বেচ্ছায় রক্তদান অনুষ্ঠানটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তৎকালীন সরকার ২ নভেম্বরকে ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ ঘোষণা করেন।







