শিরোনাম: পর্যটকের মৃত্যুঃ ট্যুর এক্সপার্ট এডমিন বর্ষা ইসলাম বৃষ্টিকে গ্রেফতার ইরান যদি আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যায় তাহলে পাল্টা হামলায় তেহরানকে জ্বালিয়ে দেয়া হবেঃ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সব ধরনের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবেঃ সাচিং প্রু জেরী কাতার রেডক্রস এর আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় অসহায়দের মাঝে মাংস বিতরন করলো বান্দরবান রেডক্রিসেন্ট যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে পবিত্র ঈদুল আযহার ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত কুহালং হেডম্যান পাড়ায় নানা আয়োজনে মাসিক স্বাস্থ্য দিবস-২৫ পালিত বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন বান্দরবানে ভূমি মেলা-২০২৫ এর উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মাণাধীন মাচাং ঘর পরিদর্শন করলেন বিভাগীয় কমিশনার


ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশের সময় :১ নভেম্বর, ২০২২ ১:০৫ : পূর্বাহ্ণ 485 Views

বান্দরবান সদর উপজেলার জামছড়ি ইউনিয়নে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের নির্মাণাধীন মাচাং ঘর পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো.আশরাফ উদ্দিন।সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বান্দরবান সদর উপজেলার জামছড়ি ইউনিয়নে গিয়ে চতুর্থ পর্যায়ের এসব নির্মাণাধীন মাচাং ঘর পরিদর্শন করেন তিনি।এসময় তিনি মাচাং ঘরগুলোর নির্মাণ কাজের মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।পরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার বলেন,আগে বান্দরবান জেলায় পাকা ঘর নির্মাণ হলেও এবার জেলা প্রশাসকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পার্বত্য এলাকার ঐতিহ্য ও কৃষ্টির সঙ্গে মিল রেখে তৈরি হচ্ছে মাচাং ঘর।

প্রতিটি মাচাং ঘর নির্মাণে ব্যয় করা হচ্ছে দুই লক্ষ ৫৫ হাজার ৬৭০ টাকা।তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই আজ দেশের অসংখ্য ভূমিহীন ও গৃহহীন তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছে।নির্মাণাধীন মাচাং ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে অসংখ্য পরিবার তাদের নতুন ঠিকানা খুঁজে পাবে।

এসময় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন,স্থানীয় জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে এসব মাচাং ঘর নির্মাণের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়।এ প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি প্রতিনিধিদল বান্দরবান পরিদর্শন শেষে মাচাং ঘর নির্মাণের যৌক্তিকতা বিবেচনায় এনে বিষয়টি অনুমোদন করে।

তিনি বলেন,ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর জন্য সেমি পাকা ঘরের পরিবর্তে মাচাং ঘর নির্মাণের উদ্যোগটি সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে,প্রত্যন্ত এলাকার জনগণ সেমি পাকা ঘরের চেয়ে মাচাং ঘরকে বেশি পছন্দ করছেন।এতে মাচাংয়ের নিচে গৃহপালিত পশু পালনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সারা বছর সংরক্ষণ করা যায়।দুর্যোগ সহনীয় ও পরিবেশবান্ধব এসব মাচাং ঘরে আলো বাতাস চলাচলের অবারিত সুযোগ রয়েছে।

এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো.লুৎফুর রহমান,সিভিল সার্জন ডা.নিহার রঞ্জন নন্দী,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাজিয়া আফরোজ,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার বিশ্বাস,সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমর্কতা মো.জাহাঙ্গীর,প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু,জামছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যাসিং শৈ মারমা এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কমকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,ভূমিহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে বান্দরবানে সর্বমোট ২৩০টি মাচাং ঘর নির্মাণ কাজ চলছে,যার মধ্যে বর্তমানে সদর উপজেলায় নয়টি,আলীকদম উপজেলায় একটি,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১৫টি,রোয়াংছড়ি উপজেলার ৪৫টি,লামা উপজেলায় ১৫টি,রুমা উপজেলায় ১০০টি এবং থানচি উপজেলায় ৪৫টি মাচাং ঘর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।নির্মাণ কাজে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘর গুলো উপকারভোগীদের কে হস্তান্তর করা হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!