

খ্রিষ্টান ব্লাইন্ড মিশন (সিবিএম) গ্লোবাল বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় স্থানীয় এনজিও বিএনকেএস-এর উদ্যোগে একটি প্রকল্প অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।প্রকল্প কো-অর্ডিনেটর অং অং থোয়াইয়ের উপস্থাপনায় এবং নারী যোগাযোগ কেন্দ্র (এনজেকে)-এর আহ্বায়ক নেমকিম বম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিল্টন মুহুরী। কর্মশালায় প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন বিএনকেএস-এর উপ-নির্বাহী পরিচালক উবানু মারমা।তিনি জানান,বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক কার্যক্রম পরিচালনার পর আগামী জানুয়ারি থেকে বান্দরবান জেলার সাতটি উপজেলায় বৃহৎ পরিসরে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। তিনি আরও জানান, ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী বান্দরবান জেলার ওই সাত উপজেলায় ৭ হাজার ৬৭৫ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষ রয়েছেন।তাদের অধিকার,সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সমাজে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত নেতিবাচক ধারণা দূর করতে জনমত গড়ে তোলাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিল্টন মুহুরী বলেন, “নিজেকে নিজে প্রতিবন্ধী ঘোষণা করলেই হবে না, ২০১৩ সালের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিকার ও সুরক্ষা আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী প্রতিবন্ধিতা নির্ধারিত হতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “কার কী ধরনের প্রয়োজন এবং কীভাবে সহযোগিতা করলে তারা উপকৃত হবেন,এ বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ বিভিন্ন সেক্টরে সফলভাবে কাজ করছেন।সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।ঋণ পরিশোধ করলে পুনরায় ঋণ নেওয়ার সুযোগও আছে।” তিনি জানান,সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার সত্যজিৎ মজুমদার,বিএনকেএস-এর উপ-নির্বাহী পরিচালক উবানু মারমা,নারী হেডম্যান সানুচিং মারমা, বিএনকেএস-এর ম্যানেজার ভানমুনসিয়াম বম, প্রকল্প সমন্বয়কারী সিংচং ম্রো, সুগত জীবন চাকমা, বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য এবং প্রকল্পের উপকারভোগীরা।







