

“শিশু,কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর আর্থিক সহায়তায় বান্দরবান জেলা তথ্য অফিস এর উদ্যোগে গার্লস গাইড ও বাংলাদেশ স্কাউটস এর তরুণ সেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহণে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক দিনব্যাপী “ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা” অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠান এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফা সুলতানা খান হীরামনি।জেলা তথ্য অফিসার মো.আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দীন,স্কাউটস এর বান্দরবান জেলা কমিশনার সম্পদ বড়ুয়া।এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) হৃদয় মাহমুদ চয়ন।এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে ইউএনও মারুফা সুলতানা খান হীরামনি বলেন,দুষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে টাইফয়েড রোগের জীবাণু ছড়ায় এবং সঠিক সময় রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা না হলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে।যেকারনে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।এই টিকা সম্পর্কে সঠিক তথ্য শিক্ষার্থীসহ সকলের নিকট পৌঁছে দিতে উপস্থিত সকলের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।তিনি টিকা সম্পর্কে অপতথ্য প্রচার ও গুজব প্রসঙ্গে বলেন,টিকা নিয়ে অনেক অপতথ্য প্রচার ও গুজব ছড়ানো হয়।এসব অপতথ্য প্রচার ও গুজব প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।এজন্য গণমাধ্যমকর্মীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।এই কর্মসূচি সফল করতে তিনি সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।এতে বক্তারা টাইফয়েড ক্যাম্পেইনে টিকা প্রদান কার্যক্রমের সময়কাল ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া,টিকাদান কেন্দ্র (স্থায়ী ও অস্থায়ী),টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ এবং জটিলতা,জরুরি অবস্থায় যোগাযোগের জন্য করণীয়,স্কাউটস সদস্য ও গার্লস গাইড এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।এসময় গার্লস গাইড ও বাংলাদেশ স্কাউটস এর সেচ্ছাসেবক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।জানা যায়, সারাদেশে শিশু-কিশোরদের ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে টাইফয়েড টিকাদানের এই কর্মসূচি।সারাদেশে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশু-কিশোর এ টিকা পাবে।