

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় পানির সমস্যা সমাধান করা গেলে সবুজ এই পাহাড়ে আরো পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল উৎপাদন করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবান কার্যালয়ের উপ পরিচালক আবু নঈম মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।রবিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বান্দরবানের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমী (নাটা),গাজীপুর এর এন-৩১তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষনার্থীদের প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবান কার্যালয়ের উপ পরিচালক আরো বলেন,পার্বত্য এলাকায় কৃষির উন্নয়নে কাজ চলছে।আদা,হলুদ,মরিচ ও দেশী বিদেশী আমের পাশাপাশি পাহাড়ে এখন উৎপাদিত হচ্ছে প্রচুর কাজু বাদাম ও ড্রাগন ফল। পার্বত্য জেলার উৎপাদিত বেশিরভাগ ফল এখন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি বিদেশে। এসময় তিনি আরো বলেন, বান্দরবানে ৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯০৩ হেক্টর জমি রয়েছে আর জলাভূমি রয়েছে মাত্র ৬হাজার ৭শত ৬২ হেক্টর। পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় আরো ফরমালিনমুক্ত ফসল আবাদে দুর্গম এলাকায় পানির সমস্যা সমাধান করা গেলে এই জেলায় ফসল আবাদ বাড়বে।এসময় তিনি প্রশিক্ষনার্থীদের উত্তম কৃষি সর্ম্পকে চাষীদের উদ্ভুদ্ধ করার আহবান জানান এবং কৃষির মাধ্যমে এগিয়ে যেতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবান এর অতিরিক্ত উপ পরিচালক মো:আব্দুল গফফার,অতিরিক্ত উপ পরিচালক তৌফিক আহম্মেদ নুর,অতিরিক্ত উপ পরিচালক সুমন কুমার বসাকসহ ৫দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া প্রশিক্ষনার্থী এবং দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আগত কৃষি বিজ্ঞানীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।এসময় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে নাটা’র মহাপরিচালক মোঃ সাইফুল আজম খান এবং প্রশিক্ষণের কোর্স ডিরেক্টর ড.মো: আব্দুল্লাহ আল ফারুক মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিজ্ঞানীদের সম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তা এবং প্রশিক্ষণের সাফল্য কামনা করেন।







