বিধিবহির্ভূতভাবে পাহাড় কাটার অপরাধে লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করলো ভ্রাম্যমাণ আদালত


নিজস্ব সংবাদদাতা প্রকাশের সময় :১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:৪৫ : অপরাহ্ণ 982 Views

পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে বিধিবহির্ভূতভাবে পাহাড় কাটার অপরাধে ভেকু মালিক আব্দুল আজিজকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা এবং তাৎক্ষণিক তা আদায় করেছে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়নের হলুদিয়া এলাকার ন্যাচারাল পার্কে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার বিশ্বাস ও এএসএম শাহনেওয়াজ মেহেদী উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরের জুনিয়র কেমিস্ট আব্দুস সালাম,বন বিভাগের কর্মকর্তা,স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান উ ক্য নু মার্মা,পুলিশ এবং ইউপি সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়,অভিযান চলাকালীন সময়ে বিধিবহির্ভূতভাবে ভেকু দিয়ে পাহাড় কাটার সময় ভেকু মালিক সাতকানিয়ার বাসিন্দা আবদুল আজিজকে ঘটনাস্থলে পাওয়া গেলেও ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত পাহাড়ের মালিক বিএনপি নেতা ওসমান গণি এবং এই অপকর্মের প্রধান সমন্বয়কারী যুবলীগ নেতা রাসেলকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।পাহাড় কাটার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পাহাড় কাটার সাথে সম্পৃক্ত কিন্তু ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত উল্লেখিত দুইজনের বিরুদ্ধে পরিবেশ ও বনবিভাগের কর্মকর্তাদ্বয়কে সংশ্লিষ্ট বিভাগের আইন অনুযায়ী মামলা করার জন্য তাৎক্ষণিক নির্দেশনা প্রদান করেন।পাশাপাশি বনবিভাগ কতৃক জব্দকৃত কাটা গাছগুলো আইনি বিধিবিধান মোতাবেক নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।প্রসঙ্গত,হলুদিয়ার ন্যাচারাল পার্ক এবং ভাগ্যকুল,কাইচতলি ও হলুদিয়ার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে সুয়ালকের যুবলীগ নেতা রাসেল ও বড়দুয়ারা এলাকার নুরু এবং কাইচতলির কাজী বশিরুল আলমসহ ওই এলাকার কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপি ও আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয়ধারী পাহাড় খেকোরা দীর্ঘদিন যাবৎ একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে পুরো অত্র এলাকাজুড়ে রাতের আঁধারে পাহাড়ের মাটি কেটে পাচার,অবৈধভাবে বালি উত্তোলনসহ নানা অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।উল্লেখ্য,গত দুই মাসে পাহাড় কাঁটার দায়ে বেশকয়েকটি পৃথক অভিযানে বান্দরবানের পরিবেশ অধিদপ্তর সুয়ালক ও হলুদিয়ার ন্যাচারাল পার্কসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।জাতীয় দৈনিক বণিক বার্তা সুয়ালক এবং হলুদিয়ার পাহাড় ও বালু খেকোদের নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও প্রকাশ করে।এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত রাসেল,কাজী বশির এবং নুরুকে পরিবেশ অধিদপ্তর জরিমানা করে।কিন্তু অর্থদণ্ডের পরিমাণ কম হওয়ায় পাহাড় ও বালু খেকো সিন্ডিকেটটি জরিমানা পরিশোধ করে পুনরায় নতুন করে অবৈধভাবে রাতের অন্ধকারে প্রশাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে ভেকু এবং ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পাচার করে যাচ্ছে।এদের কে বাজালিয়া ইউনিয়নের ছবুর মেম্বার নামে একজন পাহাড় খেকো নানাভাবে সহায়তা করার অভিযোগ অনেক পুরনো।তবে সুয়ালকের স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবী এই সিন্ডিকেট এর প্রতিটি সদস্য কে আইনের আওতায় আনা হউক এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হউক।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!