বান্দরবানে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন ও খ্রিস্টীয় নববর্ষ-২০২৬ উপলক্ষে ফাতিমা রাণী গীর্জাসহ বিভিন্ন চার্চ গুলোতে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে কেক ও ফল উপহার হিসেবে প্রেরন করেছে বান্দরবান জোন।এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে (২৪ ডিসেম্বর) বান্দরবান পার্বত্য জেলার ঐতিহ্যবাহী ফাতিমা রাণী গীর্জা প্রাঙ্গণে কেক কেটে, ফানুস উড়িয়ে বর্ণিল আয়োজনে বড়দিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে বান্দরবান জোন।বিশেষ এই দিনকে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা।আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জোন এর উপ-অধিনায়ক মেজর নাফিউ সিদ্দিকী রোমান,পিএসসি।এসময় তিনি বলেন,পার্বত্য বান্দরবান সব সম্প্রদায়ের মিলনস্থল।এখানে শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।বড়দিন আমাদের মনে করিয়ে দেয় মানবতার বন্ধন সবচেয়ে শক্তিশালী বন্ধন।যদি আমরা এটা মনে ধারণ করতে পারি তাহলে সমাজে শান্তি নিশ্চিত হবে।সুতরাং শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা সকলেই যেনো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারি এটাই হউক আমাদের একমাত্র অঙ্গীকার।এসময় উপস্থিত সকলকে তিনি মেরি ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানান।পরে শিশুদের নিয়ে কেক কেটে ও আকাশে ফানুস উড়িয়ে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জোনাল স্টাফ অফিসার মেজর এ এস এম মাইদুল ইসলাম,পিপিএম,এ্যাডজুটেন্ট লেফটেন্যান্ট এস এম সাব্বির আযম,ফাতিমা রানী গির্জার প্রধান পুরোহিত ফাদার সুধীর দাস,সিএসসি,পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সাদুরাম মিল্টন ত্রিপুরাসহ জেলার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ,বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের নবনির্বাচিত সভাপতি খুশি রায়,সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত ত্রিপুরা এবং সমাজকর্মী বিশ্ব চন্দ্র ত্রিপুরা।উল্লেখ্য,এর আগে বড়দিন উপলক্ষে বান্দরবান জোন এর উদ্যোগে মানবিক সহায়তা প্রদান কর্মসূচির ১ম,২য় ও ৩য় পর্ব সম্পন্ন হয়েছে।ওই কর্মসূচিতে পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন পাড়ার ৩৯টি চার্চ/গির্জা কমিটি,পাড়াবাসী এবং ৩০০-এর অধিক সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান,সামিয়ানা,টিন,নগদ অর্থসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জোন এর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ হুমায়ূন রশীদ, পিএসসি।