এই মাত্র পাওয়া :

পাহাড় নিয়ে ঐক্য ন্যাপ ও সৈয়দ আবুল মকসুদদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র


প্রকাশের সময় :৮ মে, ২০১৭ ১০:০৯ : অপরাহ্ণ 872 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ- পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে পূর্বতিমুর বানানোর লক্ষ্যে কথিত ঐক্য ন্যাপ নামক প্রতিনিধিদল ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি মিলনায়তেন মিথ্যাচার ও পাহাড়ের শান্তি নিয়ে ষড়যন্ত্র দাবী করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি মুরুং সম্প্রদায় ও বাঙ্গালী দুইটি সংগঠন।সোমবার পৃথক তিনটি বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।বিবৃতিতে বলা হয়,সৈয়দ আবুল মকসুদ ও পঙ্কজ ভট্টাচায্য আপনারা জানেন কী পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় উপজাতি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি মুরুং সম্প্রদায় স্বেচ্ছাসেবি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।দীর্ঘদিন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে জে.এস.এস,পি.সি.পি ও ইউপিডিএফ এর চলমান খুন,অপহরণ,চাঁদাবাজী বন্ধের জন্য সরকারের কাছে মুরুংদের পক্ষ থেকে দাবী জানানো হয়েছে।এর পরও সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন এই বিষয়ে শুধুমাত্র উদ্যেগ প্রকাশ ছাড়া আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।আর এই দিকে জে.এস.এস, পি.সি.পি ও ইউপিডিএফ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি উপজাতি ও বাঙ্গালীদের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।এখানকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি ও বাঙালীদের জানমালের নিরাপত্তার দাবীতে যখন বান্দরবানের ৭ উপজেলায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অবরোধ পালন করছে,ঠিক তখনই কথিত ঐক্য ন্যাপ নামের সংগঠনের ব্যানারে নতুন ষড়যন্ত্র নিয়ে লামায় প্রবেশ করে।এই মুরুং নেতা ঐক্য ন্যাপসহ বাম দল নেতাদের উদ্যেশ্যে বলেন, জে.এস.এস নেতা সন্তু লারমার হাতে পাহাড়ের মুরুং ও বাঙ্গালী হত্যার রক্ত এখনও লেগে আছে।যদি সত্যিই আপনারা পাহাড়ের সমস্যার সমাধান চান ৩০ হাজার বাঙ্গালী ও সাধারণ উপজাতি খুনের নায়ক সন্তু লারমার বিচারের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করুন এবং তার বিচার নিশ্চিত করুন।তাতেই বুঝা যাবে আপনারা পাহাড়ে জে.এস.এস, পি.সি.পি ও ইউপিডিএফ এর চাঁদাবাজীর ভাগ পেয়ে দালালী করছেন না,সত্যিকারেই শান্তির সমাধান চাচ্ছেন।ঐক্য ন্যাপ সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদের নিকট এই মুরুং কামান্ডার জানতে চান,নিশ্চয় আপনি অবগত আছেন!পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘ দিনের সমস্যা নিরসনে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার ভূমি জরিপ চালু করার সাথে সাথে জে.এস.এস,পি.সি.পি ও ইউপিডিএফ বাধা দিযেছে।পাহাড়ে ঘোষনা দিয়ে জে.এস.এস, পি.সি.পি ও ইউপিডিএফ অপহরণ,খুন, চাঁদাবাজীসহ সন্ত্রাসী কর্মকা-চালিয়ে যাচ্ছে।এই ব্যাপারে একবারও কি পার্বত্য চট্টগ্রামে আপনারা সফর করে সচিত্র প্রতিবেদন আকারে সমাধানের জন্য সরকারের নিকট কোনো সুপারিশ করেছেন?নাকি এখনও ঘুমের ঘুরেই আছেন?এদিকে সোমবার প্রথম আলোসহ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি মিলনায়তনে গোলটেবিল আলোচনায় কথিত ঐক্য ন্যাপ ও প্রতিনিধি দল কর্তৃক “লামায় ভূমি বেদখল সরেজমিন পরিদর্শনে বাধা একটি বাহিনীর ইন্ধনে” বক্তব্যে প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ এর চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার ও সমঅধিকার আন্দোলন বান্দরবানের নেতা মো: আবুল কালাম।আজ সোমবার পৃথক বিবৃতিতে দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়।কথিত ঐক্য ন্যাপ ও প্রতিনিধি দল কর্তৃক “লামায় ভূমি বেদখল সরেজমিন পরিদর্শনে বাধা একটি বাহিনীর ইন্ধনে” বক্তব্যের প্রতিবাদ সংগঠন দুইটির প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, কথিত ঐক্য ন্যাপ ও ভাড়াটিয়া দালাল পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুনভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।পাহাড়ের শান্তি নষ্ট করে কিছু উপজাতি দালালের সাথে আতাত করে জে.এস.এস, পি.সি.পি ও ইউপিডিএফকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে উস্কে দিচ্ছে।নেতৃবৃন্দ বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদকে জানতাম একজন ভাল লেখক তথা কলামিস্ট ও মানবাধিকার নেতা।তবে তিনি যে অন্ধের মত একটি দেশদ্রোহী সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে আতাত করে দেশ ও দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীর মত ষড়যন্ত্রে মেতে উঠবেন এটা জানা ছিল না।ঐক্য ন্যাপ এর সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচায্য ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ এর নিকট প্রশ্ন রেখে জানতে চান,আশির দশকের পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে কতবার সফর করেছেন?পাহাড়ের সাধারণ উপজাতি ও বাঙ্গালীদের কান্না কী একবারও শুনতে পেয়েছেন? পাকুয়াকালী ট্রাজেডি,লামা রাজবাড়ীতে গণহত্যা, থানচির অপহরণ,নাইক্ষ্যংছড়িতে অস্ত্রের ঝনঝনানির খবর কি একবারও জেনেছেন।এসব সমস্যার সমাধানে আজ পর্যন্ত সরকারকে কি কি সুপারিশ করেছেন? জাতির সামনে তুলে ধরুন।এতেই বুঝা যাবে আপনি কেমন দেশ প্রেমিক ও কোন ধরনের বুদ্ধিজীবী।আমরা সরকারের নিকট বারবার দাবী জানিয়ে আসছি,পাহাড়ে ভূমি সমস্যা সমাধানে ভূমি জরিপ শেষ করুন।এর পরই বুঝা যাবে কোথায় কি সমস্যা আছে।একই সাথে পাহাড়ে কোনো কেউ যদি কারো জমি দখল করে থাকে এখানে দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত রয়েছে।থানা আছে,দেশের চলমান আইনে তারা বিচার পাবে,তাদেরকে বলুন আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য।এতে বাঙ্গালী নেতৃবৃন্দ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।দখলদার যত বড় ক্ষমতাশীল হউক না কেন!আইনের কাছে ও স্থানীয় জনগনের কাছে কিছুই না।তবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য পাহাড়ের শান্তি নষ্ট করবেন না!বাঙ্গালী নেতৃবৃন্দ বলেন,শনিবার বান্দরবান,লামা, আলীকদমসহ বান্দরবানের কোথাও কোনো কর্মসূচী ছিলনা।উপজাতি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি মুরুং সম্প্রদায় তাদের দীর্ঘদিনের দাবী দাওয়া নিয়ে পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অবরোধ পালন করেছে।এতে বাঙ্গালীদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিলনা।তবে বাঙ্গালী ও দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জড়িয়ে লাগামহীন মিথ্যাচার মূলক বক্তব্য দিয়ে দেশের পাহাড়ের শান্ত পরিবেশ অশান্ত ও দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কলঙ্কিত করা হলে বাঙ্গালীরা বসে থাকবেনা।দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।পাহাড়ের কোনো বিষয়ে কথা বলার আগে ত্রিশ হাজার বাঙ্গালী ও উপজাতির খুনের নায়ক সন্তু লারমাকে বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করানোর জন্য সরকারকে বলুন।এতেই বুঝবো আপনারা সত্যিকারের মানবাধিকার কর্মী।নেতৃবৃন্দ সৈয়দ আবুল মকসুদ ও পঙ্কজ ভট্টাচায্যকে বাংলাদেশ সংবিধানের কথা স্বরন করিয়ে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান আদিবাসী বলে কাউকে স্বীকৃ্তি দেয়নি।অথচ বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে আদিবাসী ফোরাম নামক অসাংবিধানিক সংগঠনের নেতার সাথে আতাত কিসের আশায়?নেতৃবৃন্দ বলেন,পংকজ ভট্টাচায্যের লামা আসার এজেন্ডা ছিল মুরংদের সম্পদ রক্ষা অথচ গেল শনিবার মুরংরাই তাদেরকে বিতারিত করল।এটা কেন!অথচ সেদিন মুরুংদের বুঝতে দেরি হয়নি এরা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে আছে।খামোখাই বিশেষ বাহিনীর দোষ দিয়ে লজ্জা ঢাকার চেষ্টা ছাড়া এটা আর কিছুই না।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2025
MTWTFSS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর