শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

বান্দরবানের ওয়াংপা ঝরনা এবং দামতুয়া জলপ্রপাতের সন্ধান;বেড়েছে প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসু পর্যটকের আনাগোনা


প্রকাশের সময় :২৭ অক্টোবর, ২০১৭ ১২:০৬ : পূর্বাহ্ণ 820 Views

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,বান্দরবান প্রতিনিধিঃ-বর্ষা প্রায় শেষ।প্রকৃতি এখন ঘনসবুজ।পাহাড়ের যেদিকেই তাকায় না কেন চারদিকে শুধু সবুজের সমারোহ।এছাড়া ঝরনা ও জলপ্রপাতের হিমশীতল জলে সিক্ত হতে প্রতিনিয়ত আসছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসু পর্যটক।সম্প্রতি আলীকদম উপজেলার ৯ প্রকৃতিপ্রেমী তরুণের অনুসন্ধানে পাওয়া ‘ওয়াংপা ঝরনা’ এবং ‘দামতুয়া জলপ্রপাত।ঝরনা দুইটি প্রকৃতির এক অপার বিস্ময়!আলীকদম উপজেলার সবুজাভ পাহাড়ের অন্দরে লুকিয়ে আছে এই গিরিনির্ঝর। এরমধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটকদের নজর পড়েছে ‘ওয়াংপা ঝরনা’ এবং ‘দামতুয়া ঝরনার ওপর। আলীকদম-থানচি সড়কের ১৭ কিলোমিটার পয়েন্টের আদু মুরুংপাড়া থেকে ৬-৭ কিলোমিটার দূরে দামতুয়া ঝরনা ও জলপ্রপাতের অবস্থান।১৭ কিলোমিটার পথ জীপ অথবা মোটরবাইকে যাওয়ার পর বাকি পথ যেতে হয় হেঁটে। এ ঝরনা ও জলপ্রপাতের আকার আকৃতি ও গঠনশৈলী মনোমুগ্ধকর।সবচেয়ে মনোহর দামতুয়া ঝরনা। কয়েকশ’ গজ উপরে দামতুয়া জলপ্রপাত।এ জলপ্রপাতের পাথুরে মাটির ধাপগুলো আরও বিস্ময়কর।যেন সুদক্ষ ভাস্করের নিপুণ হাতে সৃষ্ট কোনো ভাস্কর্য।‘দামতুয়া জলপ্রপাত’-এর অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন ধাপ প্রমাণ করে যে এটি প্রকৃতির খেয়ালে গড়া অসাধারণ একটি স্থাপত্যশৈলী।অপরদিকে ‘দামতুয়া ঝরনা’য় দু’দিকের খাড়া পাহাড়ি দেয়াল বেয়ে কলকল,ঝমঝম রবে সুরের অনুরণন তুলে উন্মাতাল স্রোত গড়িয়ে পড়ছে নিচের গভীর জলাশয়ে। উঁচু থেকে পড়া পানির কিছু অংশ আবার জলীয়বাষ্প হয়ে বাতাসে মিশে সেখানে এক ধোঁয়াশাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।‘দামতুয়া ঝরনা’য় নামতে হলে খাড়া পাহাড়ের কিছুটা পথ ডিঙিয়ে নিচে নামতে হয়। তবে দামতুয়া জলপ্রপাতে নামার পথ পাথুরে মাটি। সেখানে নামতে তেমন সমস্যা হয় না।ঝরনা ও জলপ্রাপাতের নিচে মাঝারি ধরনের জলাশয় আছে।এ জলশায়ে সাঁতার কাটতে ও গোসল করতে পছন্দ করেন পর্যটকরা।‘দামতুয়া ঝরনা ও জলপ্রপাতে’ পৌঁছার অন্তত এক ঘণ্টা আগে দেখা মিলবে ‘ওয়াংপা ঝরনারা।ধারণা করা হচ্ছে, শতবর্ষ পূর্ব হতেই প্রবাহিত রয়েছে এসব ঝরনা ও জলপ্রপাত।এতদিন সড়ক যোগাযোগ না থাকা, বিচ্ছিন্ন পাহাড়ি জনপদ হওয়ায় তা ছিল লোকচক্ষুর অন্তরালে।ফলে তা অনাবিষ্কৃতই থেকে যায়।উদ্যমী তরুণ-যুবকরা পাহাড়ের কন্দরে লুকিয়ে থাকা এসব ঝরনা রানী ও জলপ্রপাতকে খুঁজে খুঁজে বের করে আনছেন।ফলে পাল্টে যাচ্ছে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার পর্যটন পরিবেশ।নতুনত্বের ছোঁয়া লাগছে পর্যটন খাতে।সরকারি আনুকূল্য পেলে এসব পর্যটন স্পট হয়ে উঠবে পর্যটকবান্ধব।

কীভাবে যাবেনঃ-চট্টগ্রাম কিংবা কক্সবাজার থেকে বাস করে চকরিয়া বাস স্টেশন নামতে হবে।চকরিয়া থেকে বাসে করে আলীকদম বাসস্টেশন নামবেন।সেখান থেকে জিপ গাড়ি ভাড়া নেয়া যায়।বাস স্টেশন থেকে অটোরিক্সায় পানবাজার এসে ভাড়ায় চালিত মোটরবাইক নিয়ে আলীকদম-থানচি সড়কের ১৭ কিলোমিটারের আদু মুরুং পাড়ায় নামবেন।সেখান থেকে স্থানীয় মুরুং গাইড নিয়ে উত্তর দিকে এক ঘণ্টা হাঁটলেই পেয়ে যাবেন ‘ওয়াংপা ঝরনা’র উপরের অংশ।ওখান থেকে আপনাকে ‘দামতুয়া জলপ্রপাত ও ঝরনা’য় যেতে আরও অন্তত এক ঘণ্টা হাঁটতে হবে।

থাকার জায়গাঃ-আলীকদমে গত কয়েক বছর ধরে পর্যটক থাকার স্থানের বড়ই আকাল চলছে।পার্বত্য জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত একমাত্র রেস্টহাউসটি বর্তমানে বিজিবির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।সুতরাং পর্যটকরা স্থানীয় সেনাবাহিনীকে জ্ঞাত করে পাহাড়ি পরিবেশে মুরুং পাড়ায় থাকতে পারেন।

মনে রাখবেনঃ-শিশু,বয়স্ক বা অপ্রাপ্তবয়স্কদের সেখানে না নেয়ায় সঙ্গত।হাঁটতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটলে দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে ফিরে আসা দুরূহ।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!