শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায় দুইদিন পর ফের গোলাগুলির শব্দ


ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশের সময় :৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৯:২৩ : অপরাহ্ণ 293 Views

দু’দিন বন্ধ থাকার পর আবারও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভারী গোলাবারুদের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে; এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ।

তিনি জানান, কয়েকদিন গোলাগুলির পর গেল দুইদিন কোন গুলির শব্দ শোনা যায়নি। এতে কিছুটা স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক কমে যায়। তবে আকাশের যুদ্ধ বিমান দেখা গেছে। কিন্তু আজ সকাল থেকে সীমান্তের ঘেষে মিয়ানমারের গোলাগুলি শুরু হয়েছে। ফলে আবারও স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্কের বিরাজ করছে। ভয়ে কেউ কেউ ওই এলাকার ছেড়ে শহরের আশেপাশে আশ্রয় নিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান,গত দুইদিন সীমান্ত থেকে কোন গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যায়নি।এতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়াতেই আতঙ্ক কমেছিল স্থানীয়দের।কিন্তু আজ সকাল থেকে সীমান্ত ঘেষে ফের গোলাগুলির শুরু হয়। এর ফলে ফের আতঙ্কের বিরাজ করছে স্থানীদের। এছাড়াও সীমান্তের ঘেষে যারা বসবাস করছেন তারাও গোলাগুলির ভয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি শহরে দিকে ছুটে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, ধুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু বাজারের কোনারপাড়া এবং মায়ানমারের ‘খা মং সেক’ পাহাড়ের মাঝখানের জায়গাটুকু নো ম্যান্স ল্যান্ড। এখানে (শূন্যরেখা) আশ্রয়শিবির গড়ে তুলে পাঁচ বছর ধরে বাস করছেন রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত ৬২১টি পরিবারের ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা। সেখানে বসবাসরত রোহিঙারা ওপারে বিকট গুলির শব্দ শুনে ভয়ে কাজে যেতে পারছেন না। তাদের পাহাড়ের জুমের ফসল ফলাদি ও বাগান রয়েছে। সেগুলো কাটার দূরের কথা গুলির ভয়ে দিনরাত পার করছেন ওই এলাকার বসবাসকারিরা।

ধুমধুম ইউপি সদস্য বাবুল তংচগ্যা জানান, দুই সপ্তাহ ধরে মিয়ানমার ওপারের গুলিবর্ষণ পর দুইদিন সীমান্ত থেকে গুলির শব্দ আসেনি। কিন্তু সকাল থেকে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে রেজু আমতলী সীমান্তের কাছাকাছি ওয়ালিডং পাহাড়ের বেশি গোলাগুলি হচ্ছে। সিমান্তের সংলগ্ন যারা জুম কিংবা ফলমূল চাষ করছেন তারা ভয়ে যেতে পারছেন না।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট দুপুরে মায়ানমারের দিক থেকে ছোড়া দুটি মর্টার শেল বাংলাদেশ অংশে এসে পড়েছিল। তবে সেগুলো অবিস্ফোরিত হওয়ায় এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা শেলগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। ৩ সেপ্টেম্বর রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি এলাকায় দুইটি যুদ্ধ বিমানের গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পরে এবং এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!