

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে দুইটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন এসময় মালিক পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।অভিযানের নেতৃত্ব দেন বান্দরবান অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাত জাহান ইতু।উপজেলা প্রশাসনের একটি যৌথ দলও অভিযানে অংশ নেয়।সোমবার (২৯ ডিসেম্বর ) দিনব্যাপী এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযানকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় অবস্থিত দুইটি ইটভাটার কিলন স্কেভেটর মেশিন দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।এ অভিযানে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরাও অংশ নেন।
ঘুমধুম এলাকায় পরিচালিত অভিযানে বিবিএম ইটভাটা ১ এবং এসএমবি ২ ব্রিকস নামের এ দু’টি ইটভায় গুড়িয়ে দেওয়া হয়।এছাড়াও বিবিএম ইটভায় ২ লাখ ও এসএমবি ইটভায় ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং দুই হাজার ফিট জ্বালানি কাঠ জব্দ করা হয়।ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় এই দুটি ইটভাটায় প্রায় ৮শ শ্রমিক কাজ করতেন। এভাবে নিয়মিত ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিলে বা উচ্ছেদ করলে হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাবে।তাদের আরও দাবি,ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে এই এলাকায় বাড়িঘর ও সরকারি অফিস-আদালত নির্মাণকাজ ব্যাহত হবে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী ও পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন,পরিবেশ সুরক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।







