এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

রাসূল (সাঃ) এর জন্মের সময় যে অলৌকিক ঘটনাগুলো ঘটেছিলো


প্রকাশের সময় :৯ মে, ২০১৮ ৫:৩০ : পূর্বাহ্ণ 804 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-মুহাম্মাদ (সা.) মোহাম্মদ এবং মুহম্মদ নামেও পরিচিত।তার পুরো নাম আবু আল-কাশিম মুহাম্মাদ ইবনে ʿআবদুল্লাহ ইবনে ʿআবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম (ابو القاسم محمد ابن عبد الله ابن عبد المطلب ابن هاشم) হলেন ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং ইসলামী বিশ্বাসমতে আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবী তথা “বার্তাবাহক” (আরবি : الرسول আর-রাসুল) যার উপর ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।অমুসলিমদের মতে তিনি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রবর্তক। অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে মুহাম্মাদ ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা।তার এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন।তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও।সমগ্র আরব বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য।বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তার জীবনের অন্যতম সফলতা।যে কোনো নবীর জন্মের সময় ও তার কিছু আগে এবং পরে অলৌকিক নানা ঘটনা ঘটেছে,যাতে সাধারাণ মানুষ আল্লাহর নবীকে মেনে নেয়ার জন্য প্রস্তুত হতে পারে।যেমন,আল্লাহর নির্দেশে মায়ের হাতে নবজাতক মুসা নবী (আ.) কে কাঠের বাক্সে চড়িয়ে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া ও ফেরাউনের ঘরেই তাঁর আশ্রয় লাভ।অথচ ফেরাউন মুসা (আ.) এর জন্ম ঠেকানোর জন্য হাজার হাজার শিশু হত্যা করেছিল। এ ছাড়াও পিতা ছাড়া হজরত ঈসা (আ.) এর জন্মগ্রহণ এবং দোলনায় বসে নিজের নবুওত সম্পর্কে বিশুদ্ধ ভাষায় কথা বলার ঘটনা এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যায়।তবে যে কোনো নবীর চেয়ে এ ধরনের অলৌকিক ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছিল বিশ্বনবী (সা.) এর ক্ষেত্রে এবং এইসব ঘটনা ছিল অনেক বেশি বিস্ময়কর।এর কারণ, বিশ্বনবী (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ নবী এবং তাঁর ওপর নাজিল হওয়া ধর্ম বা শরিয়তও সবচেয়ে পরিপূর্ণ বা পূর্ণাঙ্গ।আর এই ধর্ম কিয়ামত পর্যন্ত বা বিশ্বের শেষ দিন পর্যন্ত টিকে থাকবে ও শক্তিশালী হয়ে থাকবে।অন্য নবী-রাসূলরা এসেছিলেন বিশেষ জাতি ও বিশেষ সময়ের জন্য।কিন্তু ইসলাম এসেছে সব মানুষ ও জিনের জন্য এবং কিয়ামত পর্যন্ত তা আল্লাহর মনোনীত শ্রেষ্ঠ ধর্ম।বিশ্বনবী (সা.) এর জন্মের প্রাক্কালে ও জন্মের পরে সংঘটিত কিছু অলৌকিক ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরা হলোঃ-

১.ইমাম সাদিক্ব (রা.) বলেছেন,শয়তান বা ইবলিস অতীতে সপ্তম আকাশ পর্যন্ত যেতে পারত। অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য সে সপ্তম আকাশ পর্যন্ত যেত। কিন্তু হজরত ঈসা (আ.) এর জন্মের পর থেকে চতুর্থ আকাশের ওপরে ওঠা তার জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যায়।এরপর যখন বিশ্বনবী (সা.) জন্ম নেন তখন তার জন্য সব আকাশই নিষিদ্ধ হয়ে যায়। শয়তানকে আকাশের দরজাগুলো থেকে ধূমকেতু দিয়ে বিতাড়ন করা হয়।২.যে ভোর বেলায় মহানবী (সা.) জন্ম নেন, সেদিন বিশ্বের সবগুলো মূর্তি মাটির দিকে নত হয়ে পড়ে।৩.সেদিন পারস্যের রাজার বিশাল প্রাসাদের বারান্দা কেঁপে ওঠে এবং ছাদের ১৪টি প্রাচীর ধ্বসে পড়ে।৪.সেদিন পারস্যের সভে অঞ্চলের হ্রদটি তলিয়ে শুকিয়ে যায়।বহু বছর ধরে এই হ্রদকে পূজা করা হত।৫.সামাভে অঞ্চলে (কুফা ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী) পানির প্রবাহ শুরু হয়।অথচ এর আগে বহু বছর ধরে সেখানে কেউ পানি দেখেনি।৬.পারস্যের শিরাজ শহর সংলগ্ন অগ্নি উপাসনালয়ের আগুন সেই রাতে নিভে যায়।অথচ ওই আগুন এক হাজার বছর পর্যন্ত প্রজ্বলিত ছিল।৭.সেই রাতে হিজাজ বা বর্তমান সৌদি আরব থেকে একটি আলো দৃশ্যমান হয় এবং তা পূর্বাঞ্চলসহ সারা বিশ্বের ছড়িয়ে পড়ে।বিশ্বনবীর মাতা মা আমিনা (রা.) বলেছেন,আল্লাহর কসম,আমার পুত্র জন্ম নিয়েই তাঁর হাতগুলোকে মাটিতে রেখে মাথা আকাশের দিকে তোলে এবং চারদিকে তাকায়। এরপর তার থেকে একটি নূর বা আলো ছড়িয়ে পড়ে ও সে আলোয় সব কিছু দৃশ্যমান হয়। সেই আলোয় সিরিয়ার (রোমানদের) প্রাসাদগুলো দেখলাম এবং সেই আলোর মধ্যে একটি শব্দ শুনলাম, যাতে বলা হয়েছে, সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষকে জন্ম দিয়েছ, তাই তাঁর নাম রাখ ‘মুহাম্মাদ’।আমিরুল মু’মিনিনি হজরত আলী (রা.) বলেছেন,সে রাতে তথা রাসুলে খোদার (সা.) এর জন্মের রাতে পুরো দুনিয়া আলোকিত হয়। প্রতিটি পাথর ও মাটির টুকরো এবং বৃক্ষ বা গাছ হেসেছে।আর আকাশ ও জমিনের সব কিছু আল্লাহর তাসবিহ বা প্রশংসা জ্ঞাপন করেছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!