শিরোনাম: পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত: ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান ৫০ চক্ষু রোগীকে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার ও দেড় শতাধিক চশমা বিতরন এনসিপি কতৃক অনিয়ম দেখলেই ফোন করার আহবান জানালেন জেলা আহবায়ক মংসা প্রু দেশে ফিরেই এভার কেয়ার হাসপাতালে ছুটে গেলেন ডা.জোবাইদা রহমান অবৈধ ইটভাটায় লামা উপজেলা প্রশাসনের অভিযান পূজা উদযাপন ফ্রন্টের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়া’র রোগমুক্তি কামনায় প্রার্থনা সভা জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে হুইল চেয়ার ও শীতবস্ত্র বিতরন বান্দরবানে নানা আয়োজনে পার্বত্য শান্তি চুক্তি’র ২৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত

ইসলামে ধর্ষকের সাজা


সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৩ এপ্রিল, ২০১৯ ৭:৫৮ : অপরাহ্ণ 813 Views

ধর্ষণ একটি ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি। সাম্প্রতিক কালে বহুল আলোচিত হয়ে উঠেছে ধর্ষণ শব্দটি। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই চোখে পড়ে ধর্ষণের নানা ঘটনার খবর। গ্রামে কিংবা শহরে, বাড়িতে কিংবা রাস্তায়, অফিসে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমনকি চলমান বাসে পর্যন্ত, একথায় বলা চলে প্রায় সর্বত্রই ঘটছে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার। এটি কারো একার পক্ষে প্রতিরোধ করা সম্ভব না প্রয়োজন পারিবারিক ও সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ইসলামসহ কোন ধর্মেই ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক কাজকে উৎসাহিত করা হয়েনি।
বিবাহবহির্ভূত যেকোনো যৌন সঙ্গমই ইসলামে অপরাধ। ইসলাম ধর্ষণকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করে না। ধর্ষণকে এক প্রকার ব্যভিচার হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ব্যভিচার সুস্পষ্ট হারাম এবং শিরক ও হত্যার পর বৃহত্তম অপরাধ। ইসলামি আইন শাস্ত্রে ধর্ষকের শাস্তি ব্যভিচারকারীর শাস্তির অনুরূপ। কোরআনের সুরা আল ইসরা’র ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন ‘আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।’
হজরত ওয়াইল ইবনে হুজর (রা.) বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে এক মহিলাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হলে রসুলুল্লাহ (সা.) ওই মহিলাকে কোনোরূপ শাস্তি দেননি, তবে ধর্ষককে হদের (কোরআন-হাদিসে বহু অপরাধের ওপর শাস্তির কথা আছে। এগুলোর মধ্যে যেসব শাস্তির পরিমাণ ও পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে সুনির্ধারিত তাকে- হদ বলে) শাস্তি দেন।’ -ইবনে মাজাহ: ২৫৯৮
ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন। ব্যভিচারী যদি বিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। আর যদি অবিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে একশ বেত মারা হবে।
কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ, তাদের প্রত্যেককে একশ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাকো। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। সূরা নূর: ২।
হাদিসে বলা হয়েছে, ‘অবিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে শাস্তি একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর বিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে একশ বেত্রাঘাত ও রজম (পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড)। সহিহ মুসলিম।
ধর্ষণের ক্ষেত্রে একপক্ষে ব্যভিচার সংগঠিত হয়। আর অন্যপক্ষ হয় নির্যাতিত। তাই নির্যাতিতার কোনো শাস্তি নেই। কেবল অত্যাচারী ধর্ষকের শাস্তি হবে।
আইনে ধর্ষণের কারণে মৃত্যু হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর ইসলামে ধর্ষণের কারণে মৃত্যু হলে সে প্রথমে ব্যভিচারের শাস্তি পাবে। পরে হত্যার শাস্তি পাবে। হত্যা যদি অস্ত্র দিয়ে হয় তাহলে কেসাস বা মৃত্যুদণ্ড। আর যদি অস্ত্র দিয়ে না হয়, এমন কিছু দিয়ে হয়- যা দিয়ে সাধারণত হত্যা করা যায় না। তাহলে অর্থদণ্ড। যার পরিমাণ একশ উটের মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ (বর্তমান বাজারমূল্যে প্রায় কোটি টাকা)।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30 
আলোচিত খবর