শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

পটুয়াখালী তে ৬০ টাকায় চিকিৎসা সেবা


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :৭ আগস্ট, ২০২১ ১০:০৪ : অপরাহ্ণ 465 Views

মাত্র ষাট টাকায় পাওয়া যাচ্ছে চিকিৎসা সেবা।পটুয়াখালীর কুয়াকাটার নয়ামিশ্রিপাড়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশীপ বাংলাদেশের ক্লিনিক কাম আশ্রয় কেন্দ্র থেকে প্রতি মাসে হাজারো মানুষ এ সেবা গ্রহণ করে উপকৃত হচ্ছেন। দুর্যোগে আশ্রয় নেওয়াসহ উপকূলবাসীর চিকিৎসায় ভরসার স্থানও এটি।

এলাকাবাসীর জানায়, এত কম খরচে মানসম্মত সেবা তারা উপজেলা কিংবা জেলাতেও পাওয়া যায় না। ফ্রেন্ডশিপ বাংলাদেশ-এর জেনারেল ম্যানেজার মো. আনোয়ারুল আমীন জানান, দূর্যোগ থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষার জন্য ২০১৮ সালে লুক্সেমবার্গ সরকার এই আশ্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। পরে গড়ে তোলা হয় বেসরকারি এই ক্লিনিক। উপজেলা বা জেলা শহরে চিকিৎসা নিতে সময় ও খরচ বেশি, অপেক্ষাকৃত কম খরচে একজন এমবিবিএস, একজন চক্ষু ও একজন দন্ত চিকিৎসক এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ থাকায় এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে আগ্রহ বেশি স্থানীয়দের।

চিকিৎসায় সুনাম থাকায় এখানে সেবা নিতে আসেন দূর-দূরান্তের রোগীরা। ফ্রেন্ডশিপ হেলথ ক্লিনিক-এর মেডিকেল অফিসার ডা. শাহ মোহাম্মদ নাকিব উদ্দিন জানান, এলাকাবাসীর চাহিদার প্রেক্ষিতে ও তাদের সহযোগিতায় আর্ত মানবতার সেবায় গড়ে উঠেছে এই ক্লিনিক।

প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত এখানে রোগীদের জেনারেল মেডিসিন, চক্ষু ও ডেন্টাল এ তিন বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। প্রতিদিন প্রায় ৪০ জন রোগী এখানে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। চাহিদার ভিত্তিতে এখানে পরিসর বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে এখানে ডায়াবেটিক রোগীদেরকেও সেবা দেয়া হয়। ক্লিনিকের চক্ষু টেকনিশিয়ান অলিপ সিংহ জানান, বিদেশী অত্যাধুনিক মেশিনে স্বল্প খরচ ও সময়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

তবে সরকারি বা ডোনারদের সহযোগিতা পেলে বড় ধরনের অপারেশনসহ সেবার মান ও পরিধি বাড়ানো সম্ভব। সেবা গ্রহিতারা জানান, কলাপাড়া উপজেলা শহরে যেতে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিনশ’ টাকা খরচ হয়, ওই টাকাতেই এই ক্লিনিকে সেবা নেওয়া যায়। তাই অর্থ ও সময় দুটোই সাশ্রয় হয়। চিকিৎসা নিতে আসা আবুল হায়াত, আবুল হাসেম, সাফিয়া বেগম জানান, এখানে আগেও এসেছেন, সবার ব্যাবহার খুব আন্তরিক, পরিক্ষা করতে অন্য জায়গার চেয়ে খরচ কম, ঔষধের দামও কম রাখে, চিকিৎসা নিয়ে উপকার পেয়েছেন তাই অন্য সমস্যা নিয়ে আবার এসেছেন।

শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন খোলা থাকে কলাপাড়া উপজেলা শহর থেকে ৩৪ কিলোমিটার দুরের এই ক্লিনিকটি। অজপাড়া গায়ে গড়ে ওঠা এরকম সেবা কেন্দ্রের প্রশংসা করে সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম শিপন জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে এখানে বিনা পয়সায় চিকিৎসা ও ঔষধ সরবরাহ করা হয়। সাধারণ মানুষকে সেখানে চিকিৎসা নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!