এই মাত্র পাওয়া :

নুর হোসেনের বান্ধবী সেই নীলা ফের আলোচনায়!


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৮ মার্চ, ২০১৯ ১:১৪ : অপরাহ্ণ 731 Views

আবারো আলোচনায় উঠে এসেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা। সে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাবেক কাউন্সির নুর হোসেনের বান্ধবী।

৭ খুনের ঘটনার পর নীলাকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। সিদ্ধিরগঞ্জের একটি হত্যা মামলায় রোববার বিকালে তদন্ত সংস্থা সিআইডি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আর এতে করে ফের আলোচনায় উঠে আসে নীলা।

সিদ্ধিরগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম জুয়েল হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের অংশ হিসেবে মামলার তদন্ত অফিসার জেলা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. ছরোয়ার জাহান সরকার রোববার বিকালে নীলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ মামলায় নীলা জামিনে রয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের ২৬শে অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আজিবপুর গ্রাম থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে মস্ককবিহীন একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর জানতে পারে মরদেহটি নোয়াখালী জেলার মাসুমপুর গ্রামের ফিরোজ খানের ছেলে খায়রুল ইসলাম জুয়েলের (৩০)।

আদালত সূত্রমতে, জুয়েল হত্যা মামলায় কিলার লঞ্চ সোহেল, কালা সোহাগ ও মনা ডাকাত নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তারা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

সেখানে তারা বলেছিলেন, মাদক ব্যবসার দেনা-পাওনা নিয়ে নীলার সঙ্গে জুয়েলের বিরোধ দেখা দেয়। এতে নীলার নির্দেশে খায়রুল ইসলাম জুয়েলকে গলা কেটে হত্যার পর দেহ এক স্থানে ও মাথা আরেক স্থানে ফেলে দেন তারা। আসামিদের স্বীকারোক্তির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ নীলাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়।

পুলিশ এই হত্যা মামলায় নীলাসহ ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয়। কিন্তু পুনরায় মামলাটি সিআইডি তদন্ত করতে গিয়ে নীলাসহ ১৭ জনকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন জেলা সিআইডির পরিদর্শক মো. নূরুন নবী।

যদিও অব্যাহতি চাওয়া ১৭ জন আসামির মধ্যে ১৩ জনের নাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রয়েছে। এছাড়া সিআইডির অভিযোগপত্রে ২৫ জনের মধ্যে ৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

কিন্তু সেখানে অধিকাংশ আসামিকে কেন অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা চার্জশিটে বিস্তারিত উল্লেখ করেননি তদন্ত কর্মকর্তা। তাই আদালত মনে করেছেন এ চার্জশিটটি স্পষ্ট নয় এবং দাখিলকৃত চার্জশিট সন্তোষজনক বলে প্রতীয়মান হয় না।

সূত্রটি আরও জানায়, আসামিদের জবানবন্দি ন্যায় বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হওয়ায় ২০১৬ সালের ২১শে জুলাই নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য জেলা সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য সাতখুনের ঘটনার পর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা ব্যাপকভাবে আলোচনায় উঠে আসেন। কারণ তিনি ৭ খুন মামলার অন্যতম আসামি নুর হোসেনের বান্ধবী। ২০১১ সালের ৩০শে অক্টোবর নাসিকের নির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (৪, ৫ ও ৬) নারী কাউন্সির নির্বাচিত হন জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা। একই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা নুর হোসেন ৪নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এর অল্প দিনের মাথায় নুর হোসেনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠে নীলার।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2025
MTWTFSS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর