এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

খুলনায় ১০ টাকার চাল পাবে ৮৪ হাজার পরিবার


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১২ আগস্ট, ২০২১ ৬:১৯ : অপরাহ্ণ 348 Views

খুলনায় সরকার ঘোষিত ১০ টাকা মূল্যের চাল পাবে ৮৩ হাজার ৯৪৪ পরিবার। প্রতিটি পরিবার মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে। বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে এবং করোনাকালে কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় নিম্নআয়ের মানুষের জন্য এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এ কর্মসূচি চলবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় খুলনার ৬৮টি ইউনিয়নে বিক্রি করা হবে ১০ টাকা কেজির চাল। জেলায় ৮৩ হাজার ৯৪৪ পরিবার এ সুবিধা পাবে। এর মধ্যে দাকোপ উপজেলায় ১৪ হাজার ৬৯৫ পরিবার, ডুমুরিয়া উপজেলায় ৮ হাজার ৯৫৬, পাইকগাছা উপজেলায় ১৩ হাজার ১২৩, তেরখাদা উপজেলায় ৪ হাজার ৫২০, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ১০ হাজার ৫০৪, ফুলতলা উপজেলায় ৪ হাজার ৮৪, কয়রা উপজেলায় ১০ হাজার ৩৫৯, রূপসা উপজেলায় ১০ হাজার ২৮৮ ও দিঘলিয়া উপজেলায় ৭ হাজার ৪১৫ পরিবার পাবে এ সুবিধা।

জেলার ৬৮ ইউনিয়নে ১৭৩ জন ডিলার আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ চাল বিক্রি করবেন। আমন ধান ওঠার আগ পর্যন্ত অর্থাৎ নভেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। প্রতিমাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দুস্থ অসহায় পরিবারের মধ্যে বিক্রি হবে ২ হাজার ৫১৮ টন চাল।

সূত্র আরও জানায়, চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে এসব কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ১২ হাজার ৫৮৭ টন চাল বিক্রি করা হয়েছে। জেলার দুটি কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদাম ও উপজেলা পর্যায়ে ৮টি গুদামে মজুদ রয়েছে মোট ৫৪ হাজার ৬৮০ টন চাল। মজুদকৃত চালের মধ্যে ১৬ হাজার ৪১৮ টন ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে।

খুলনা জেলা খাদ্য অফিসের সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার মহানগরীর বাজারগুলোয় মোটা চাল প্রতিকেজি ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা, মাঝারি চাল ৪৮-৫০ টাকা, চিকন চাল ৫৬-৫৮ টাকা এবং উপজেলা পর্যায়ে মোটা চাল ৪১ থেকে ৪২ টাকা, মাঝারি চাল ৪৬-৪৮ টাকা এবং চিকন চাল ৫৪-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

বটিয়াঘাটা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, এ কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের জন্য সরবরাহ করা হয়েছে নতুন কার্ড। সুষ্ঠুভাবে বিক্রির জন্য ডিলারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রবি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সপ্তাহে ৫ দিন এ চাল বিক্রি হবে।

ডুমুরিয়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুজিত মুখার্জি বলেন, উপজেলা খাদ্যগুদামে মজুদ সংকট হলে জেলা খাদ্য অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় অথবা পার্শ্ববর্তী গুদাম থেকে ডিলারদের সংগ্রহ করতে হবে চাল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাদ্য অধিদপ্তরের একজন পরিচালক জানান, করোনাকালে নিম্নআয়ের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় সরকার তিন মাসের জন্য এ সুযোগ দিয়েছে। এ চাল কালোবাজারে বিক্রি করা হলে সরাসরি ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আমন ওঠার আগ পর্যন্ত চলবে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য এ কর্মসূচি।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!