

কক্সবাজারের ক্যাম্প-২২ এ রোহিঙ্গা কমিউনিটির ঐতিহ্যবাহী চিনলোন প্রতিযোগিতা এর ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ক্যাম্প ইনচার্জ অফিস আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠিত হয়।টেকনাফ ক্যাম্প-২২ এর ইনচার্জ মো.রনি আলম নূর অনুষ্ঠান এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ফিতা কেটে সমাপনী পর্বের আনুষ্ঠানিকতার শুভ উদ্ধোধন ঘোষণা করেন এবং ফাইনাল খেলা উপভোগ করেন।
পরে তিনি চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করেন।ক্যাম্প-২২ এর সহকারী ক্যাম্প ইনচার্জ শফিকুল বারী এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও এপিবিএন-১৬ ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম,সিআইসি কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মীবৃন্দ,এনজিও প্রতিনিধি, কমিউনিটি লিডার এসময় উপস্থিত ছিলেন।ক্যাম্প-২২ এর ব্লক ভিত্তিক প্রতিযোগিতা এর ফাইনাল খেলায় সহস্রাধিক দর্শকের উপস্থিতিতে একটি উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।জানা যায়,গত ২৬ আগস্ট ক্যাম্প-২২ এর বিভিন্ন ব্লক এর ২০টি দল নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়।ফাইনাল খেলায় ব্লক বি-২ সর্বোচ্চ ৩০ পয়েন্ট অর্জন করে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা অর্জন করে।ব্লক ডি-৩ ১৯ পয়েন্ট নিয়ে রানারআপ শিরোপা অর্জন করে।
এসময় ক্যাম্প ইন চার্জ মো.রনি আলম নূর প্রতিযোগিতা আয়োজনে যারা অক্লান্ত শ্রম এবং আন্তরিকতা নিয়ে সার্বিক সহোযোগীতা করেছেন তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।তিনি বলেন,পরর্বতীতে এই ধরনের প্রতিযোগিতা আরও আয়োজন করা হবে।যারা আজকের ফাইনাল পর্যায়ে পৌছলেন তাদের সবাইকে নিয়মিত অনুশীলনে মনযোগ দিতে হবে যাতে করে অন্য ক্যাম্পগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় ক্যাম্প-২২ ভালো ফল নিশ্চিত করতে পারে।এসময় তিনি চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলের সকল সদস্য কে অভিনন্দন জানান এবং অংশগ্রহনকারী সকল দলকে শুভেচ্ছা জানান।
ক্যাম্প-২২ এর সহকারী ক্যাম্প ইনচার্জ মো.শফিকুল বারী বলেন,ক্রীড়া চর্চা প্রতিটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।খেলাধুলাই পারে যুব সমাজকে নানা অনৈতিক কাজ থেকে দুরে রাখে।বিশেষ করে যুব সমাজকে মাদক থেকে দুরে রাখতে ক্রীড়া চর্চার কোনও বিকল্প নাই।এসময় খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করার জন্য উপস্থিত সকলকে তিনি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য,ক্যাম্প ২২ এর অফিসার্স ক্লাব কোর টীম এর সদস্যদের সার্বিক তত্বাবধানে ঐতিহ্যবাহী চিনলোন প্রতিযোগিতা-২৫ এ সার্বিক সহযোগিতা করে বেসরকারি এনজিও সংস্থা ব্র্যাক,কোর্ড এইড,ডিএসকে,এফআইবিডিবি, গিফটিং হিউমিনিটি,আইআরসি,আইওএম,মুক্তি কক্সবাজার, ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও), ইপসা।