শিরোনাম: পার্বত্য অঞ্চলে সাধারন মানুষের সু-চিকিৎসা নিশ্চিতে কাজ করছে সেনাবাহিনীঃ লেঃ কর্নেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান ধর্ষণের দায়ে আপুই মং মারমা নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন বান্দরবান সদর থানা পুলিশের প্রচেষ্টায় ২২ স্মার্ট ফোন উদ্ধারপূর্বক মালিকদের হাতে তুলে দিলো পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ৯ ভূমি মালিক পেলেন এমআইসিআর চেক আলীকদমে ঈদুল ফিতরের উপহার সামগ্রী বিতরন করলো সেনাবাহিনী বান্দরবানে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত বান্দরবান সেনা জোন আয়োজিত ভলিবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা দিবসে সেনাবাহিনীতে ৫১ জনকে অনারারি কমিশন

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও শক্তিশালী সশস্ত্রবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু


অনলাইন রিপোর্টার প্রকাশের সময় :২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ২:৩০ : অপরাহ্ণ 451 Views

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও শক্তিশালী সশস্ত্রবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

আজ রবিবার চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুল প্রাঙ্গণে ১, ২, ৩ ফিল্ড ও ৩৮ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারির জাতীয় পতাকা প্রদান অনু্ষ্ঠানে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই ১৯৭২ সালে কুমিল্লা সেনানিবাসে গড়ে তোলা হয় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি। উন্নত ও পেশাদার সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি ১৯৭৪ সালে একটি প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেছিলেন। তাঁর সুদূরপ্রসারী এই প্রতিরক্ষা নির্দেশনার আলোকেই সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোর বিন্যাস ও পরিবর্তনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ দেশ ও দেশের বাইরে এক সম্মানজনক অবস্থায় উন্নীত হয়েছে।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, সম্মান ও গৌরব- মূলমন্ত্রে দীক্ষিত রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবময়। ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত মুজিব ব্যাটারীর কামানের গোলাবর্ষণের মধ্য নিয়ে ঘোষিত হয়েছিল রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির সগৌরব পথচলা। মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিব ব্যাটারী (বর্তমানে ১ ফিল্ড রেজিমেন্ট), রওশনআরা ব্যাটারী (বর্তমানে ২ ফিল্ড রেজিমেন্ট) এবং স্বতন্ত্র রকেট ব্যাটারী (বর্তমানে ৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি) K ফোর্সের অধীনে ফেনীর যুদ্ধ, সালদা নদীর যুদ্ধ, কসবার যুদ্ধ, নাজিরহাটের মুদ্ধ, মান্দাবাগ বাজার যুদ্ধ; এস (S) ফোর্সের অধীনে আখাউড়া-সিংগাইর বিলের যুদ্ধ এবং জেড (Z) ফোর্সের অধীনে বড়লেখার যুদ্ধ, আটগ্রাম ও জকিগঞ্জের ঘুদ্ধ, সমশের নগরের যুদ্ধ এবং কুমিল্লা এলাকায় মুক্তিবাহিনীকে ফায়ার সাপোর্ট প্রদান করে। দেশমাতৃকার অখণ্ডতা রক্ষার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এই রেজিমেন্টের সদস্যরা দেশের অভ্যন্তরে যে কোনো দুর্যোগে জনগণের সেবায় তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এবং সাধারণ মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন।

সৈনিকদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, আবহমান কাল থেকেই যুদ্ধের ময়দানে জাতীয় মর্যাদার প্রতীক ‘পতাকা’ বহন করার রীতি প্রচলিত আছে। পতাকা হলো জাতির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সম্মান এবং মর্যাদার প্রতীক। তাই পতাকার মান রক্ষা করা সকল সৈনিকের পবিত্র দায়িত্ব। জাতীয় পতাকা বহনের দুর্লভ সুযোগ সকলের জীবনে আসে না। জাতীয় পতাকা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যে কোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান ও গৌরবের বিষয়। আজ সেই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা আপনাদের হাতে তুলে দেওয়া হলো। এই বিরল সম্মান ও গৌরব অর্জন করায় আমি ১, ২, ৩ ফিল্ড ও ৩৮ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারিকে জানাই অভিনন্দন। কর্মদক্ষতা, কঠোর অনুশীলন ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতি হিসেবে যে পতাকা আজ আপনারা পেলেন, তার মর্যাদা রক্ষার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে আপনারা সবসময় প্রস্তুত থাকবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই ইউনিটের সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত থেকে জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে পিছপা হবে না।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, সেনাবাহিনী তার মুল কার্যক্রমের পাশাশাশি সবসময়ই জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাসহ ভোটার ডাটাবেজ তৈরি, সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করে সেনাবাহিনী জনগণের সুনাম কুড়িয়েছে। পেশাগত দক্ষতার কারণে দীর্ঘ প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ তদারকি সহ কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রকল্প, হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার নির্মাণ, মহিপাল ফ্লাইভার নির্মাণ এবং থানচি-আলীকদম সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে। দেশ ও জাতির প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও এভাবে জনকল্যাণমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনীকে অবদান রাখতে হতে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
March 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
26272829  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!