শিরোনাম: ধর্ষণের দায়ে আপুই মং মারমা নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন বান্দরবান সদর থানা পুলিশের প্রচেষ্টায় ২২ স্মার্ট ফোন উদ্ধারপূর্বক মালিকদের হাতে তুলে দিলো পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ৯ ভূমি মালিক পেলেন এমআইসিআর চেক আলীকদমে ঈদুল ফিতরের উপহার সামগ্রী বিতরন করলো সেনাবাহিনী বান্দরবানে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত বান্দরবান সেনা জোন আয়োজিত ভলিবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা দিবসে সেনাবাহিনীতে ৫১ জনকে অনারারি কমিশন পবিত্র আল কোরআন স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ,স্পষ্ট ও সুন্দরঃ হলিউড অভিনেতা উইল স্মিথ

বছরের শেষ নাগাদ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশায় পররাষ্ট্র সচিব


ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশের সময় :২৪ আগস্ট, ২০২২ ১২:৩০ : পূর্বাহ্ণ 133 Views

গত চার বছরে না হলেও এ বছরের শেষ নাগাদ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরুর আশা করছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

রোববার রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে জাতিসংঘ এবং এর অঙ্গসংস্থাগুলোর সঙ্গে টাস্কফোর্স সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।

মিয়ানমারে নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালে সীমান্তে রোহিঙ্গা ঢল শুরুর পর দেশটির সরকার নিজ দেশের নাগরিকদের ফেরত নিতে ওই বছরই বাংলাদেশে সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল।

তবে সেই চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে থাকা ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার একজনকেও ফেরত নেয়নি মিয়ানমার। এরই মধ্যে দেশটির ক্ষমতায়ও পালাবদল ঘটে।

গত বছরে জানুয়ারিতে মিয়ানমারের সঙ্গে চীনে মধ্যস্থতায় বৈঠকের পর প্রত্যাবাসন শুরুর আশা প্রকাশ করেছিলেন সচিন মাসুদ বিন মোমেন। সেই প্রত্যাশা পূরণ না হলেও এক বছর পর আবার আশা দেখাচ্ছেন তিনি।

পররাষ্ট্র সচিব রোববার বলেন, “হতাশ হলে সব শেষ। আমাদের চেষ্টা আমাদের স্বার্থেই করতে হবে। যেহেতু আমাদের জন্য বড় চাপ, আরও বেশি চেষ্টা করতে হবে।

“আমরা এখনও আশাবাদী যে, বছরের শেষে বা বছর শেষের আগে হয়ত (প্রত্যাবাসন) শুরু করতে পারব।”

মিয়ানমারের এই শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো না গেলে বাংলাদেশের জন্য যে ঝুঁকি তৈরি হবে, সে কথাও বলেন তিনি।

“কারণ রোহিঙ্গাদের তরুণ একটা জনগোষ্ঠী, তারা যদি হতাশ হয়ে যায়, তারা যদি আশা না দেখে, তাহলে অনেক ধরনের ঝুঁকি আছে, সেই ঝুঁকিগুলোও কমানো দরকার। সে কারণে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।”

ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে রোববারের সভায় ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে রোহিঙ্গাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ক্যাম্পের কাজে তাদের সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে নতুন দুটি নীতিগত দলিল চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

এর মধ্যে একটি নাম ‘স্ট্রিম লাইনিং দ্য এনগেজমেন্ট অফ রোহিঙ্গা অ্যান্ড হোস্ট কমিউনিটি বলেনটিয়ান ইন ক্যাম্প একটিভিটিস’।

এ নিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “এর আগে এটা নিয়ে কোনো পলিসি ছিল না। অনেক গ্যাপ ছিল, কে কী করছে, সেই তথ্য সবসময় আমাদের কাছে থাকত না।

“এই পলিসির মাধ্যমে আমরা আশা করছি, একটা কমন ডেটাবেইস হবে এবং এই ডেটাবেইসের মাধ্যমে আমরাও জানতে পারব যে, কাকে কোথায় কীভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে।”

মিয়ানমারে পরিবর্তন কি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাটা হবে?

রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধির নীতি চূড়ান্তের বিষয়ে সচিব বলেন, “এর মাধ্যমে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং বা স্কিলড ডেভলপমেন্ট করা হবে। এগুলো তারা ফিরে গেলে রাখাইনে কাজে লাগবে।”

কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের খাবার সরবরাহে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছ থেকে আশ্বাস মিলেছে বলেও জানান পররাষ্ট্র সচিব।

তিনি বলেন, “ভাসানচরে ইতমধ্যে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা গেছে। তবে ওখানে জাতিসংঘের যে ইনভলবমেন্ট সেটা পুরোপুরি শুরু হয়নি।

“বিশেষ করে ওখানে খাদ্যের যে প্রবাহ সেটা আমাদের লোকাল এনজিওরা ব্যবস্থা করছে। আজকে আমরা আশ্বাস পেয়েছি, ডব্লিউেএফপি এটা ইমিডিয়েট শুরু করছে এবং আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত খাদ্যের সমস্যাটা হবে না।”

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরানোর মতো পরিবেশ তৈরি করতে জাতিসংঘের কার্যক্রমও এই বৈঠকে তুলে ধরা হয়।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “রাখাইনে যে গ্রামগুলো আছে সেখানে তারা (জাতিসংঘ) নানা রকম কর্মকাণ্ড করছে। সেই কাজে রোহিঙ্গারাও সম্পৃক্ত আছে।”

কক্সবাজার ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জন্য পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য ইউএনএফপিএ-কে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
March 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
26272829  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!