সিএইচটি নিউজ ডেস্কঃ-আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের নতুন নেতৃত্ব খুঁজে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছার জবাবে তিনি এই আহ্বান জানিয়েছেন। গত কাউন্সিল অধিবেশনেও শেখ হাসিনা নতুন নেতা খুঁজতে কাউন্সিলরদের তাগিদ দেন। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা আর নির্বাচন করতে চান না। শেখ হাসিনাই তাঁর ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, ‘২০২৩ সালের নির্বাচনে আমাকে তোমরা পাচ্ছ না।’ ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী। এই দুটি উৎসব হবে যখন বাংলাদেশ পুরোপুরি মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরপর অবসর জীবনে যেতে চান। টুঙ্গীপাড়ায় গিয়ে কাটাতে চান। তিনি অবসর কবে নেবেন, কিংবা রাজনীতি থেকে দূরে কবে যাবেন, তারচেয়েও বড় প্রশ্ন শেখ হাসিনার কি বিকল্প আছে আওয়ামী লীগে? এই প্রশ্নের উত্তরে একবাক্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা বলবেন ‘না’।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। দলের নেতা কর্মীরা তাঁকে ছাড়া সংগঠন ভাবতেই পারে না। শেখ হাসিনা তাঁর একক নেতৃত্ব এবং দূরদর্শিতায় আওয়ামী লীগকে আজকের জায়গায় এনেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের ঐক্যের প্রতীক। প্রেরণার উৎস। আবার এটাও বাস্তবতা যে, ৭১ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনের মেয়াদ শেষে ৭৬ বছর অতিক্রম করবেন। খুব বেশী হলে হয়তো আরও এক মেয়াদে অর্থাৎ ৮১ বছর পর্যন্ত তিনি দলের নেতৃত্বে থাকতে পারবেন। এরপর শারীরিক ও মানসিকভাবে তিনি কোনোভাবেই দল বা সরকারের নেতৃত্বে থাকতে রাজী হবেন না। মহান সৃষ্টিকর্তা যদি তাঁকে হায়াত দেন তাহলে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার বর্ণাঢ্য সংগ্রাম মুখর এবং উজ্জীবিত অগ্রযাত্রার যুগ শেষ হবে। অবশ্য মালয়েশিয়ায় মাহাথিরের পুনুরুত্থানের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের অনেকেই বলছেন, ৯২ বছর বয়সে মাহাথির যদি মালয়েশিয়ায় আবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তাহলে শেখ হাসিনা কেন নয়? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যেমনটি বলছিলেন, ‘শেখ হাসিনাই আমাদের নেতা। আল্লাহ তাঁকে যতদিন বাঁচিয়ে রাখবেন, ততদিন তিনি আওয়ামী লীগের নেতা থাকবেন। তাঁর কোন বিকল্প নেই। ওবায়দুল কাদেরের মত প্রায় সবাই মনে করেন আমৃত্যু শেখ হাসিনাই থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রধান।
কিন্তু এই দৃঢ় সত্য, শেখ হাসিনার পর আওয়ামী লীগের হাল কে ধরবেন, এ আলোচনা ভালোই হয়। কিছুদিন আগে পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অনেকেই শেখ হাসিনার পর নেতৃত্বের জন্য শেখ রেহানাকে ভাবতেন। কিন্তু ক্রমেই নিজেই তিনি এ সব ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করিয়েছেন। শেখ রেহানা শুধু শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত বন্ধু, বোন, পরামর্শক হয়েই থাকতে চান। সরাসরি রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশের কোন সম্ভবনা তাঁর নেই। নাটকীয় কোন পরিস্থিতি তৈরি না হলে শেখ হাসিনার স্থলাভিসিক্ত হওয়ার কোন সম্ভাবনা শেখ রেহানার নেই। প্রধানমন্ত্রীর বড় ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জনপ্রিয়। অনেকেই তাঁকে শেখ হাসিনার যোগ্য উত্তরাধিকার ভাবে। তথ্য প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য তিনি দলের বাইরেও ব্যাপক জনপ্রিয়। পরিচ্ছন্ন, মেধাবী এবং স্পষ্টবাদী হিসেবে তাঁর সুনাম আছে। কিন্তু জয়ও এখনো রাজনীতিতে মায়ের সহযোগীর ভুমিকাতেই আছেন। সরাসরি রাজনীতিতে এখনো তিনি প্রবেশ করেননি। তবে রাজনীতিতে তাঁর প্রবেশ সময়ের ব্যাপার মাত্র। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মনো বিজ্ঞানী। অটিজম বিষয়ে তিনি বিশ্বজুড়ে পরিবর্তনের পুরোধা। নিজের বিষয়ের বাইরে তিনি খুব একটা কথা বলেন না। নাটকীয় কিছু না হলে তারও আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নেয়ার সম্ভাবনা খুব কম। রিজওয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি, শেখ রেহানার বড় ছেলে। অসাধারণ মেধাবী। কিন্তু সরাসরি রাজনীতির চেয়ে তিনি নেপথ্যে কাজ করতে পারেন। তবে, আওয়ামী লীগ সভাপতি চান নেতৃত্ব দলের নেতা কর্মীদের আকাংখা থেকে আসুক। যেভাবে তিনি নেতৃত্বে এসেছেন। উত্তরাধিকার তিনি ঘোষণা করতে চান না। এর বড় কারণ সম্ভবত চারপাশের উদহারণ। তবে, জাতির পিতার দল আওয়ামী লীগের ঐক্যের সূত্র হলো বঙ্গবন্ধুর রক্ত। শেখ হাসিনার পর বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারীই পারবে দলের ঐক্য অটুট রেখে তা এগিয়ে নিতে। সেক্ষেত্রে সজীব ওয়াজেদ জয়ই যে নেতা- কর্মীদের প্রথম পছন্দ ক্রমেই তা স্পষ্ট হচ্ছে।(((বাংলা ইনসাইডার)))
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.