শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

সময় যতটুকু আছে, দেশের জন্য দিয়ে যেতে চাই :শেখ হাসিনা


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৭ আগস্ট, ২০২১ ১১:০৮ : অপরাহ্ণ 261 Views
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার জীবনের কোনো মায়া নেই। আমার কিছু চাওয়ার নেই। আমার একটাই চাওয়া, যে আদর্শ নিয়ে আমার বাবা এ দেশ স্বাধীন করেছেন, তাঁর সেই আদর্শ বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দেব। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।’

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা রক্ত দিয়ে গেছেন এ দেশের মানুষের জন্য, রক্ত দিয়ে গেছেন আমার মা, আমার ভাইয়েরা। আমিও সেই রক্ত দিতেই বাংলাদেশে পা রেখেছি। মৃতু্যকে সামনাসামনি দেখেছি। কিন্তু কোনোদিন আমি ভীত হইনি, আমি ভীত হব না। কারণ আমি প্রস্তুত। আমি তো জানি, যে কোনো মুহূর্তে আমাকে চলে যেতে হবে। যতটুকু সময় আছে দেশের জন্য যা করতে পারি। সেটুকুই আমি চাই। এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে আমার বাবা-মা, ভাইয়ের আত্মা যেন শান্তি পায়, সেটাই আমি চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন হত্যাকান্ড ঘটল, যেটা কারবালার সাথেই তুলনা করা যায়। সেখানেও কিন্তু শিশু, নারীদের হত্যা করেনি। বাংলাদেশে শিশু, নারীসহ কাউকেই রেহাই দেয়নি।’

মা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব প্রসঙ্গ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার মা সব সময় একটা কথাই বলতেন যে, দেশের জন্য তুমি (বঙ্গবন্ধু) কাজ করে যাও। বাকি সব দায়িত্ব আমার। সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন। আর যখন আমার বাবা জেলে থাকতেন, দলের কাজ করা, সংসারের কাজ করা, সবই তো তিনি করেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে এলেন। ওই বছর থেকেই ষড়যন্ত্র শুরু। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভক্তি হলো। জাসদ সৃষ্টি হলো।

তিনি বলেন, একটা চেষ্টা ছিল বঙ্গবন্ধুকে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরানোর। সেই চেষ্টা করে যখন সফল হয়নি, তখন তারা এই হত্যাকান্ড ঘটাল। আজকে খুনিদের বিচার হয়েছে। যারা পাশে ছিল এবং যারা ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল তারাও সমানভাবে অপরাধী। আমি সবই জানি, বিচারটা জরুরি ছিল। এখন ধীরে ধীরে সবই বের হবে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!