শিরোনাম: মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেন বিএনপি মনোনিত প্রার্থী রাজপুত্র সাচিং প্রু জেরী এনসিপিতে পদত্যাগের মিছিলঃ এবার দল ছাড়লেন যুগ্ম আহ্বায়ক তানসুভা জাবীন শপথ গ্রহন করলেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী সেনা অর্থায়নে সুংসুয়াং পাড়ায় ইকো রিসোর্টঃ পাড়াবাসীর কল্যানে ব্যয় হবে আয়ের সব অর্থ প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান বিপুল পরিমাণ জাল নোটসহ তিন পেশাদার জাল টাকা কারবারি গ্রেফতার রাজপুত্র সাচিং প্রু জেরীর শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে গির্জায় গির্জায় সহধর্মিণী ম ম চিং আলীকদমে বড়দিন উপলক্ষে সেনা উদ্যোগঃ সম্প্রীতির সেতুবন্ধনে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর সশস্ত্রবাহিনীর জন্য মাইলফলক : প্রধানমন্ত্রী


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:৪২ : অপরাহ্ণ 583 Views

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্রবাহিনীতে যোগ দিতে তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি শিশুদেরও অনুপ্রাণিত করবে। গতকাল সকালে আন্তর্জাতিক মানের স্থাপত্য কীর্তি বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজয় সরণির বঙ্গবন্ধু জাদুঘর প্রান্তে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে তিনি ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাদুঘরটি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য মাইলফলক হবে। যার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম ও শিশুরা মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান সম্পর্কে জানতে পারবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি এটা হবে পৃথিবীতে একটি শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তিনির্ভর সামরিক জাদুঘর। এখানে সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীর জন্য পৃথক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকায় আগত তরুণ থেকে বয়োবৃদ্ধরা যেমন এ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে পারবেন তেমনি তরুণ প্রজন্ম সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানে আরো আগ্রহী হবে। যে কারণে ক্ষুদ্র পরিসরে থাকা আমাদের সামরিক জাদুঘরকে বৃহৎ পরিসরে এবং আরো আকর্ষণীয় করে বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারের পাশে বিজয় সরণিতে তৈরির উদ্যোগ তার সরকার গ্রহণ করে। পাশাপাশি সেখানে সরকারি উপহারগুলো প্রদর্শনীর জন্য একটি তোষাখানা জাদুঘরও নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। যা নির্মাণের দায়িত্ব পায় সামরিক বাহিনী।
এ ছাড়া জাদুঘর থেকে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমুখ। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সামরিক জাদুঘরটি বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারের পশ্চিম পাশে ১০ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে। যেখানে স্বাধীনতার আগে ও পরে সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে তিন বাহিনীর জন্য নির্ধারিত গ্যালারিসহ ছয়টি পৃথক অংশ রয়েছে। প্রতিটি বাহিনীর গ্যালারিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার। এখানে আর্ট গ্যালারিসহ মাল্টিপারপাস এক্সিবিশন গ্যালারি, ব্রিফিং রুম, স্যুভেনির শপ, ফাস্ট এইড কর্নার, মুক্তমঞ্চ, থ্রিডি সিনেমা হল, মাল্টিপারপাস হল, সেমিনার হল, লাইব্রেরি, আর্কাইভ, ভাস্কর্য, মুর্যাল, ক্যাফেটারিয়া, আলোক উজ্জ্বল ঝরনা ও বিস্তীর্ণ উন্মুক্ত প্রান্তর সবকিছু মিলে একটি চমৎকার দৃষ্টি নন্দন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সামরিক বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে জনগণকে শিক্ষিত করার জন্য বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর ১৯৮৭ সালে মিরপুর সেনানিবাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যা পরে ১৯৯২ সালে ঢাকার বিজয় সরণি রোডের পাশে বঙ্গবন্ধু প্ল্যানেটোরিয়ামের পশ্চিম পাশে বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়।
প্রতিটি উন্নয়ন কাজেই তাকে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে উল্লেখ করে বক্তব্যে সরকার প্রধান বলেন, সে বাধা অতিক্রম করেই তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন এবং আজকের এই দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা নির্মাণে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, পাশের নভোথিয়েটারে অনেক শিক্ষার্থীরা আসে তারা সেখানে অনেক কিছু দেখে এবং জানতে পারে। সামরিক জাদুঘরে এসেও তারা অনেক কিছু দেখতে ও শিখতে পারবে। অনুষ্ঠানে শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি স্বাধীনতার পর সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে তার নেয়া নানা পদক্ষেপেরও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সে হত্যাকাণ্ডে তিনি আপনজনহারা হলেও দেশের মানুষ কিন্তু তাদের সব সম্ভাবনাকে হারিয়ে ফেলে। বারবার দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ সময় সরকারে থাকার ফলে আজকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি। যেটা ২০০৮ এর নির্বাচনের ইশতেহারে আমাদের ঘোষণা ছিল।
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন আজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান মেয়াদের তিন বছর পূর্তি এবং চতুর্থ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে তিনি এই ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো ও রেডিও স্টেশনগুলোতে তার ভাষণটি সম্প্রচারিত হবে। ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। এর কয়েক দিন পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো শপথ নেন। এ নিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশে টানা এতদিন ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড কারো নেই। সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে গত বছর ৭ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশকে আরো ‘বহু দূর’ এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় জানান প্রধানমন্ত্রী।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30 
আলোচিত খবর