এই মাত্র পাওয়া :

জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্তঃ ইসি


  1. অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় :২৬ আগস্ট, ২০২২ ২:২০ : অপরাহ্ণ 527 Views

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সেনা সদস্যদের কোনো বিচারিক ক্ষমতা দিতে চায় না সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নির্বাচন কমিশনার মো.আলমগীর।

তিনি বলেন,আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেবো,এটা আমাদের সিদ্ধান্তে আছে। সরকারকে প্রস্তাব দেবো সেনাবাহিনীর সহায়তা দেওয়ার জন্য।

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন,জাতীয় নির্বাচনের সময় সেনা সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাহায্যকারী হিসেবে থাকেন, টহল দেন। যেখানে যখন ডাক পড়ে সেখানে যান।

সেনাদের কোনো বিচারিক ক্ষমতা না দেওয়ার কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন,স্ট্যান্ডিং ফোর্স বা টহল ও ইভিএমে টেকনিক্যাল সহায়তাকারী হিসেবে তারা থাকবেন।

মো.আলমগীর বলেন,সরকারের কাছে যে কোনো সংস্থার সহযোগিতা চাইতে পারি আমরা।কাজেই যদি সেনাবাহিনীর সহায়তা চাই,তারা সেই সহায়তা দিতে বাধ্য।

ভোটের সময় স্বরাষ্ট্র,জনপ্রশাসন,স্থানীয় সরকার ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ ইসি চায় না জানিয়ে তিনি বলেন,কয়েকটা রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব ছিল যেন নির্বাচনের সময় ওই মন্ত্রণালয়গুলো কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। আমরা সেটার সঙ্গে একমত হইনি।

তিনি বলেন,ভোটের সময় চারটি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কমিশন চায় বলে যে সংবাদ প্রচার হয়েছে, তা সঠিক নয়।কমিশন সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছ থেকে যা যা সহায়তা প্রয়োজন তাই চায়।

এক প্রশ্নে আলমগীর বলেন,আইনশৃঙ্খলার বাইরে সেনাবাহিনীকে দেখার সুযোগ নেই।ইভিএমে যেখানে ভোট হয় সেখানে তাদের কিছু এক্সপার্ট লোক আছে। কোনো সমস্যা হলে সেটা দেখার জন্য তারা থাকবে। টেকনিক্যাল সহকারী হিসেবে তারা থাকবে। এছাড়া অন্য কোনো ভূমিকায় রাখার সুযোগ নেই।

ইভিএমে ভোট ৫০ আসনেও হতে পারেঃ

সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও কতগুলো আসনে এই মেশিন ব্যবহার হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মো.আলমগীর।

তিনি বলেন, আমাদের সক্ষমতা আছে ৭০-৮০টা আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার। পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে, আমরা ১৫০ আসনেই করতে পারবো, তাহলে ১৫০ আসনেই করবো। আর যদি আমাদের প্রকিউরমেন্ট করা সম্ভব না হয় (নতুন মেশিন কেনা না গেলে) তাহলে ৭০-৮০ আসনেই হতে পারে। মেশিন যদি আরও নষ্ট হয়ে যায় তাহলে ৫০টায় ভোট হতে পারে।

১৫০ আসনে ভোট করতে আরও দেড় থেকে দুই লাখ ইভিএম কিনতে হবে বলে জানান এই কমিশনার।

সরকারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন আঁতাত করছে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কোনো যোগাযোগ নেই।

এক প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার বলেন,কোনো দল এলে নির্বাচন হবে,না এলেও হবে।৩৯টি রাজনৈতিক দল আছে।কোনো দল যদি না আসে নির্বাচন যে বন্ধ রাখতে হবে এমন কথা কোথাও বলা হয়নি।আইন অনুযায়ী,নির্বাচন করাটাই বাধ্যতামূলক।না হলে আমরাই সংবিধানবিরোধী কাজ করবো,সংবিধান ভঙ্গের দায়ে দায়ী হবো।

তিনি বলেন,এ মাসের শেষে অথবা সামনের মাসের শুরুতে রোডম্যাপের বিষয় চূড়ান্ত হবে।রোডম্যাপে থাকবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে গেলে কী কী কাজ করা প্রয়োজন, সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করবো, কী চ্যালেঞ্জ থাকবে, কীভাবে মোকাবিলা করবো।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2025
MTWTFSS
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!