এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশে তুরস্কের সহায়তা অব্যাহত থাকবে


প্রকাশের সময় :৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১২:৪৩ : পূর্বাহ্ণ 765 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোগান বলেছেন, আমরা রোহিঙ্গাদের ওপর ঘটে যাওয়া পাশবিকতার কথা শুনেছি।তাদের (রোহিঙ্গাদের) ওপর ঘটে যাওয়া নিপীড়ন বড়ই অমানবিক,বর্বর।নিজ দেশে এভাবে পাশবিকতার শিকার হওয়া কখনো কাম্য নয়।এটি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে জাতিসংঘের আগামী অধিবেশনে তুলে ধরা হবে।
বিপদাপন্ন রোহিঙ্গাদের জীবনমান বিবেকসম্পন্ন যে কাউকে আপ্লুত করবে।অমানবিকতায় মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করলেও মানবিকতায় প্রতিবেশী বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়ে প্রশংসনীয় কাজ করে আসছে। রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশে তুরস্কের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধিত ক্যাম্প ও অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনটো মারসুদি ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম,কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড.একে ইকবাল হোসেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল,উখিয়ার ইউএনও মো.মাঈন উদ্দিন,ইউএনএইচসিআর ও আইওএম বাংলাদেশ প্রধানসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।মিয়ানমারে অব্যাহত নির্যাতনের কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছান তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোগান ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনটো মারসুদি।এরপর তারা বেলা দেড়টার দিকে উখিয়ার কুতুপালংয়ে পৌঁছে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধিত ক্যাম্পে যান।সেখানের এক অফিস কক্ষে আগে থেকে উপস্থিত রাখা হয় মিয়ানমার সেনাদের গুলি ও জখমে আহত ১২ রোহিঙ্গা নারী-শিশু ও পুরুষকে।ফার্স্ট লেডি প্রথমে সেখানে তাদের সঙ্গে কথা বলেন।আহত ও গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গারা তাদের ওপর ঘটে যাওয়া পাশবিকতার বর্ণনা দেন।তাদের পরিবারের নারী সদস্যদের ওপর ঘটে যাওয়া বর্বরতা ও পাড়া প্রতিবেশীদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারার কথা বলতে গিয়ে আহতরা কেঁদে ফেলেন। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন এমিন এরদোগানও।তিনি নীরবে চোখ মুছছিলেন।আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়ে কথা বলা ১২ জনের হাতে ত্রাণের বক্স তুলে দেন তিনি।এরপর কাদামাটিতে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা হেঁটে অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করেন।এসময় চলার পথে দু’ধারে শত শত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু দাঁড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানান।তিনি হাত তুলে দুপাশে দাঁড়ানো রোহিঙ্গাদের সালাম দেন এবং ক্ষণে ক্ষণে দাঁড়িয়ে সন্তানসহ মা,বয়োবৃদ্ধদের সঙ্গে কথা বলেন।রোহিঙ্গারা তাদের দেশত্যাগের কারণ,দুর্ভোগ,নির্যাতনের বর্ণনা এমিন এরদোগানের কাছে নিজেদের ভাষায় বয়ান করে কান্না করেন।টানা ঘণ্টা দেড়েক ক্যাম্পের বিভিন্ন অলিগলি হেঁটে নতুন তৈরি করা ঝুপড়িগুলো পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি বলেন,রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ যা করছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।এই মানবিক বিপর্যয় থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে তুরস্ক বরাবর বাংলাদেশের পাশে থাকবে।রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশে তুরস্কের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে,ভবিষ্যতেও রাখবে। আমরা রোহিঙ্গাদের ওপর ঘটে যাওয়া পাশবিকতার কথা জেনেছি।এটি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে জাতিসংঘের আগামী অধিবেশনে তা তুলে ধরা হবে।রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান গণহত্যা ও নৈরাজ্য বন্ধের দাবি মিয়ানমারের কাছে জানানো হয়েছে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এমিন এরদোগান বলেন,আমরা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।তারা এটি বার বার এড়িয়ে গেছে।এসময় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনটো মারসুদি বলেন,রোহিঙ্গারা খুবই অমানবিক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ যা করছে সেজন্য তুরস্কের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।তুরস্ক রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।ভবিষ্যতেও এ সমর্থন অব্যাহত রাখা হবে।কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো.আলী হোসেন জানান,পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্প সম্পর্কে তুরস্কের ফার্স্ট লেডিকে অবহিত করা হয়েছে।পূর্ব থেকে বৃত্ত আকারের প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকা রোহিঙ্গারা ক্যাম্প আকারে দখল করে নিয়েছে।চলমান সহিংসতার পর এ পর্যন্ত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে কুতুপালংয়ের আশপাশ এলাকা ও বালুখালী ক্যাম্প ছাড়াও পাশের বিভিন্ন পাহাড়ে অবস্থান নেয়ার কথা তুলে ধরেছি।তিনি তার দেখে যাওয়া বিষয়টি নিজ দেশে সবাইকে এবং সরকারের মাধ্যমে জাতিসংঘে তুলে ধরবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!