শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

এবার তোমাকে আর মনোনয়ন দিচ্ছি না,এলাকায় গোলমাল করা বন্ধ করঃ-(আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা)


প্রকাশের সময় :২৪ অক্টোবর, ২০১৭ ৩:৪৪ : পূর্বাহ্ণ 665 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-এমপি সাহেব ব্যস্ত ছিলেন কর্মীদের নিয়ে। হঠাৎই সেলফোন বেজে উঠল।নাম্বার দেখেই খুশির ঝিলিক ফুটল চেহারায়।কর্মীদের জানালেন, ‘গণভবন থেকে ফোন এসছে।’ কর্মীরাও উৎসুক হয়ে তাকাল ফোনের দিকে। কেতাবী ঢংয়ে ফোন তুলে নিয়েই লম্বা সালাম দিলেন এমপি।`ভাই কি খবর?কেমন আছেন?` ইত্যাদি একথা সেকথার পরই অপর প্রান্ত থেকে বলা হলো,সন্ধ্যা সাতটায় নেত্রী ডেকেছেন।এমপি সাহেব তো খুশিতে বাকবাকুম।নেত্রীকে তাহলে পরশুদিনের এলাকার প্রোগ্রামটা বলব।আর সবগুলোরে সাইজ করব।কর্মীদের মধ্যে বিজয়ীর চাঞ্চল্য দেখা দিলো।ছয়টার মধ্যেই সফেদ পাঞ্জাবির ওপর মুজিব কোট চাপিয়ে রওনা দিলেন এমপি,গণভবনের উদ্দেশ্যে।গণভবনে গিয়েই আপ্যায়ন পেলেন।একটু পরেই এলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি। সালাম বিনিময় এবং টুকটাক কথার পর,দলের সভাপতি জানালেন সিদ্ধান্ত, ‘এবার তোমাকে আর মনোনয়ন দিচ্ছি না।এলাকায় গোলমাল করা বন্ধ কর।এখন এলাকাতেও যাবার দরকার নেই।দলের জন্য কাজ কর। দল ক্ষমতায় এলে নিশ্চিয়ই দেখব।গ্রুপিং ট্রুপিং করো না।’ মুহূর্তে এমপির মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। দলের সভাপতি তাঁকে তার অপকর্মের ফিরিস্তি দুচারটা জানালেন।স্পষ্ট বার্তা দিলেন,তার জন্য এলাকায় আওয়ামী লীগের ক্ষতি হচ্ছে।গণভবন থেকে বেরিয়ে তিনি বাসায় গিয়ে শুয়ে পড়লেন।কর্মীদের সঙ্গ দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ।এলাকায় কর্মসূচিও বাতিল হলো।ঘটনাটি একজন এমপির।যিনি ২০১৪ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর,নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এলাকায়।এরকম আরও শতাধিক বর্তমান এমপিকে এভাবেই ‘লালকার্ড’ দেখিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।তারা যেন এলাকাকে আর দূষিত না করে,দলে আর কোন্দল না বাড়ায়।এ লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছেন খোদ দলের সভাপতি।তিনি এরকম তালিকা ধরে ধরে এমপিদের ডাকছেন।দলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিচ্ছেন।এ পর্যন্ত প্রায় একডজন এমপিকে এরকম লালকার্ড দেখানো হয়েছে।এ সংখ্যা দেড়শো ছাড়িয়ে যাবে বলে আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে। এলাকায় বিভক্তি বন্ধ,যোগ্য প্রার্থীর পথ সুগম করতেই আওয়ামী লীগ এই কৌশল নিয়েছে।এর ফলে,মনোনয়ন ঘিরে দলের বিভক্তি অনেক কমে আসবে বলে ধারণা আওয়ামী লীগের।আওয়ামী লীগের সিনিয়র একজন নেতা জানিয়েছেন, ‘কিছু এমপি এলাকায় এমন বদনাম করেছেন যে,তাঁর জন্য আওয়ামী লীগের ত্যাগী,নিষ্ঠাবান কর্মীরা মাঠে নামতে পারছেন না।তাই আগাছা পরিষ্কারের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।জানা গেছে,আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাদ পড়াদের জানানো শেষ হবে।তখন দলও অনেক ভারমুক্ত হবে।দলের ইমেজও বাড়বে।(((বিডি ট্রু নিউজ)))

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!