শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

স্টিফেন বিগানের সফর: আইপিএসে অংশীদারি জোরালো করছে বাংলাদেশ


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৮ অক্টোবর, ২০২০ ৫:৪২ : অপরাহ্ণ 459 Views

ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) অঞ্চলে ক্রমেই অংশীদারি জোরাল করছে বাংলাদেশ। ২৮ ও ২৯ অক্টোবর আইপিএস বিজনেস ফোরাম ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। এতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধি এবং বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরা এতে অংশ নেবেন। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে আইপিএস অংশীদারি থেকে বাণিজ্যিক দিক থেকে লাভবান হওয়ার পথ খুঁজছে। যদিও সামরিক দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যেতে চায় না বাংলাদেশ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থান, ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীল পরিস্থিতি মার্কিন আগ্রহের কারণ বলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন।

সম্প্রতি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসপার টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন। সেই ধরাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান বাংলাদেশ সফরে এসে আইপিএসে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে ঘোষণা করেন।

বিগান ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া আইপিএসে অংশীদার।

ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের পছন্দের দেশগুলোকে আইপিএসভুক্ত করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে এই জোটের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশীদার হয়েছে।

আগামী দিনগুলোয় এই সহযোগিতা আরও জোরদার হবে। জানতে চাইলে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা শনিবার যুগান্তরকে বলেছেন, ‘আইপিএস একটি ধারণা। বাংলাদেশ এই ধারণাকে বিশ্বাস করে।

ফলে আইপিএস বিজনেস ফোরামে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারের প্রতিনিধিও অংশ নেবেন।’ তিনি আরও বলেন, আইপিএসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের কিছু নেই।

কারণ এটি কোনো প্রকল্প নয়। এটি একটি ধারণা। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে আইপিএস কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়ছে।

এদেশে এখন বিশাল বাজার সৃষ্টি হয়েছে। আইপিএসে বাংলাদেশকে টানার নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এই যুক্তিও কাজ করছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রি এক্সিকিউটিভ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আইপিএসের অপরাপর অংশীদাররা ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামে ভার্চুয়ালি মিলিত হবেন।

এই ফোরামের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার অংশীদারদের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করবে।

এবারের ফোরামের থিম হল জ্বালানি ও অবকাঠামো, ডিজিটাল ইকোনমি, মার্কেট কানেকটিভিটি, কোভিড-১৯ মহামারী থেকে স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং ইন্দো-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ অ্যান্ড বাণিজ্যিক সুযোগ।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই ইভেন্ট যৌথ আয়োজক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের বর্তমান চেয়ারম্যান ভিয়েতনাম। এক বছর আগে ব্যাংককে এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

তখন ৩০ দেশ থেকে এক হাজার প্রতিনিধি অংশ নিয়েছিলেন। জানতে চাইলে আমেরিকান চেম্বার ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ শনিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘মহামারীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। এটা খুবই পজিটিভ দিক। যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাংলাদেশে বাড়বে। বাংলাদেশে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। বর্তমানে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের পরিমাণ তিন দশমিক আট বিলিয়ন ডলার। ভবিষ্যতে জ্বালানি, অ্যাগ্রো প্রসেসিং, বেভারেজ, ব্যাংকিং, গার্মেন্ট, অবকাঠামোসহ বড় বড় খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আশা করছি।’

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অনেক বড় রফতানির গন্তব্য। যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় সাড়ে ছয় বিলিয়ন ডলারের মতো পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। আমদানি তুলনামূলক কম। বছরে আড়াই বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। বাণিজ্য বাংলাদেশের অনুকূলে রয়েছে।

অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশ যাতে চীনের দিকে বেশি ঝুঁকে না থাকে, সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র আইপিএস সম্পৃক্ততার দিকে নজর দিচ্ছে।

বাংলাদেশ এক্ষেত্রে আইপিএস অঞ্চলের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে বঙ্গোপসাগরের মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণকাজ জাপানকে দিয়েছে।

যদিও চীন সোনাদিয়ায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এত কাছাকাছি আর কোনো সমুদ্রবন্দর নির্মাণের প্রয়োজন নেই। তাই সোনাদিয়ার প্রস্তাব উপযোগিতা হারিয়েছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!