এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের যতসব ভন্ডামী


প্রকাশের সময় :৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ১:৫৪ : পূর্বাহ্ণ 1058 Views

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্কঃ-সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দেশটির সামাজিক ব্যবস্থাকে পরিবর্তনে কাজ শুরু করেছেন। তাঁর উদ্যোগে নারীদের গাড়ি চালানোর এবং স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার অনুমতি দিয়েছে দেশটির রাজতন্ত্র। সিনেমা হলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়ছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন তিনি। আর তেল থেকে নির্ভরতা কমাতে, অর্থনৈতিক সংস্কারে ‘ভিশন ২০৩০’ গ্রহণ করেছেন। এই পরিকল্পনার অধীনে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। মোহাম্মদ বিন সালমানের এমন কর্মকাণ্ড দেশটির তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। কিন্তু যুবরাজের এমন জনপ্রিয়তায় ছায়া ফেলেছে তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপন।

২০১৫ সালে ৩০০ মিলিয়ন ডলারে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একটি প্রাসাদ কেনেন যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। সংবাদ মাধ্যম টাইমসের খবরে বলা হয়, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি। একই বছর ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী কেনেন তিনি। সম্প্রতি ৪৫০ মিলিয়ন ডলারে শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা একটি ছবি কিনেছেন। আর এ সবই তিনি করেছেন বেনামে।

সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর নেতৃত্বে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে প্রিন্স ও ব্যবসায়ীসহ প্রায় ২০০ জনকে আটক করে সৌদি সরকার। এটিকে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের চেয়ে ক্ষমতা সংহত করার প্রচেষ্টা বলেই মনে করছেন অনেকে। আর আটকের পর তাদের বিলাসবহুল হোটেলে বন্দী রেখে বিচারের পরিবর্তে তাদের সম্পদ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বাধ্য করা হয়। এটি আইনি শাসনের অনুসরণ নয়, বরং একটি স্বৈরাচারি শাসন ব্যবস্থাকেই সামনে নিয়ে আসে।

তিনি যদি সত্যিই একটি আধুনিক এবং উদার সৌদি আরব প্রতিষ্ঠা করতে চান তাহলে তাঁর উচিত সৌদি আরবের ভিন্নমতাবলম্বী চিন্তক এবং রাজনৈতিক কর্মীরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাবাস করছেন,তাদের মুক্তি দেওয়া। এর পরিবর্তে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বরং রাজনৈতিক বিরোধী এবং ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসীদের আটক এবং দমন করছেন। মোহাম্মদ বিন সালমানের উচিত এই ভিন্ন মতাবলম্বী এবং মতাদর্শের রাজনৈতিক কর্মীদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া এবং তাদের বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!