শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

সম্ভাবনাময় জাহাজ নির্মাণ শিল্পের এগিয়ে যাওয়ার গল্প


সিএইচটি টাইমস অনলাইন প্রকাশের সময় :২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ৯:০০ : অপরাহ্ণ 649 Views

আদার ব্যাপারির জাহাজের খবর নিয়ে লাভ না থাকলেও এখন দিন বদলে গেছে। জাহাজ এখন বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য খাতের একটি সম্ভাবনাময় নাম। কারণ দেশেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের জাহাজ। দেশি প্রযুক্তি ও লোকবল ব্যবহার করে দেশের শিপইয়ার্ডগুলোতে যাত্রীবাহী জাহাজ,পণ্যবাহী জাহাজ, অয়েল ট্যাংকার, টাগবোট, ফিশিং বোটসহ নানা ধরনের যান্ত্রিক নৌযান নির্মাণে বাংলাদেশ সফলতা দেখিয়েছে।
‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা জাহাজ এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল শুরু করেছে। এ দেশের নির্মাণ কাজ বিশ্বমানে উন্নীত হওয়ার পর জার্মানি, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, পাকিস্তান, মোজাম্বিক, লিবিয়া ও মালদ্বীপ এরই মধ্যে মধ্যে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে জাহাজ নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ ও কার্যাদেশ দিয়েছে।
জাহাজ নির্মাণ বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় এবং ক্রমবিকাশমান শিল্প। আধুনিক যুগের শুরু থেকে বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণের একটি দীর্ঘ ইতিহাস থাকলেও স্থানীয়ভাবে তৈরি জাহাজ রফতানি করার মাধ্যমেই মূলত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাহাজ নির্মাণ একটি প্রধান প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের ২০০শ’র মতো জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি রয়েছে যেগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও খুলনাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ থেকে জাহাজ রফতানি শুরু হয় ২০০৮ সালে।
এ শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য সুখবর হয়ে আসে সরকারী নীতি ও আর্থিক সহায়তা। তিন বছর কোন ডাউনপেমেন্ট পরিশোধ ছাড়া এবং ১০ বছর মেয়াদে (ত্রৈমাসিক কিস্তিতে) ঋণ পরিশোধের সুযোগ দিয়েছে অর্থ-মন্ত্রণালয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সবপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে অর্থ-মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নেয়। আবার এ খাতে নেয়া ঋণের সুদের ওপর ৪ শতাংশ হারে ভর্তুকি দেয়ারও নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সুদের ওপর ভর্তুকি প্রদান কার্যকর হলে এই শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা।
বর্তমানে নরওয়েতে রফতানির জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে উচ্চপ্রযুক্তির মাছ ধরার ট্রলার, যার রফতানি মূল্য প্রায় ১৭২ কোটি টাকা। জাহাজটির নির্মাণকাজ শেষ করতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বাংলাদেশ প্রথম পাঁচ মাসে তথা জুলাই থেকে নভেম্বরে বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণ শিল্প থেকে তিন কোটি চার লাখ ৫০ হাজার (৩০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন) ডলার আয় করেছে, যা একই সময়ে গত অর্থ বছরে ছিল ৫৪ লাখ ৩০ হাজার (৫ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন) ডলার অর্থাৎ এ খাতে গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪৬১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
রফতানির নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। সরকারের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা এবং পুঁজি বিনিয়োগকারীরা এ খাতে মনোযোগী হলে আগামীতে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক খাতে নতুন এক বিপ্লবের সূচনা ঘটবে। প্রতিবছর আয় হবে কয়েক হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। এ খাতে কর্মসংস্থান হবে লক্ষাধিক দক্ষ শ্রমিকের। শুধু তাই নয়, জাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশ পরিপূর্ণ সুযোগ পেলে এ খাতটি দেশের বিদ্যমান সব ক’টি খাতকে ছাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রথম স্থানে চলে যাবে। সরকারী-বেসরকারী এবং জাহাজ নির্মাণ খাতে পুঁজি বিনিয়োগকারী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এ খাতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!