শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

বাংলাদেশের উন্নয়নে মুগ্ধ হয়ে বিনিয়োগে আগ্রহী হলো ব্রিটিশ সরকার


প্রকাশের সময় :২৬ জুলাই, ২০১৮ ২:৩৭ : অপরাহ্ণ 835 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-সব ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে মধ্যম-আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভের যোগ্যতা অর্জনের ফলে বাংলাদেশে বড় ধরণের বিনিয়োগ করতে চায় যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন পরিস্থিতি বিবেচনা করেই যুক্তরাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ বিষয়ক বাণিজ্যদূত এমপি রুশনারা আলী। সম্প্রতি একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন ব্রিটিশ এই বাণিজ্যদূত।

রুশনারা আলীর মতে, বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল বিশ্বের রোল মডেল। বাংলাদেশকে দেখে বিশ্বের অনেক দেশ উন্নয়নের রোডম্যাপ তৈরি করছে। বাংলাদেশ আজকে সমগ্র বিশ্বকে বিস্মিত করে দিয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র শেখ হাসিনার মতো একজন বিচক্ষণ প্রধানমন্ত্রীর কর্মগুণে। একটি দারিদ্র্য-পীড়িত দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।

গত দশ বছরের সমৃদ্ধ শাসনে বাংলাদেশ শিল্প-বাণিজ্য, খাদ্য, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য খাত ও সেবা খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছে। বাংলাদেশ অনেকগুলো ক্ষেত্রেই প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাকে ছাড়িয়ে গেছে। ছোট একটি রাষ্ট্র কিভাবে সীমিত সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহার করে দ্রুত সময়ে উন্নয়নের মহাসড়কে স্বগর্বে এগিয়ে চলছে, সেটি আসলেই বিস্ময়কর। বাংলাদেশের এইসব অর্জন ব্রিটিশ সরকারকে নতুন করতে ভাবতে বাধ্য করেছে। তাই বাংলাদেশে নতুন করে বৃহদাকারে বিনিয়োগ করার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য অবকাঠামো খাত স্পষ্টতই বড় ক্ষেত্র। এছাড়া রেল, সড়ক, সেতু ও বিমানবন্দর, জ্বালানি খাত, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, শিক্ষা ও দক্ষতা বিনিময়ের মতো কিছু ক্ষেত্রে বিনিয়োগে ব্রিটিশ সরকারের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে অবকাঠামো, জ্বালানি-বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ, সস্তা ও দক্ষ শ্রমিক সহজলভ্য, নিরাপত্তার মতো সুবিধা প্রদান করছে। সরকারের সহযোগিতামূলক মনোভাবের কারণে ব্রিটিশ সরকার বিনিয়োগ করতে ব্যাপক ইচ্ছুক। অথচ ভাবতেই অবাক লাগে, বিগত ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় কী ভয়ংকর পরিস্থিতি না বাংলাদেশের ছিল! সাধারণ মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা ছিল না। লুটপাট, দুর্নীতি করে দেশটিকে তলানীতে ফেলে দিয়েছিল তৎকালীন সরকার।

এমনকি বাংলাদেশি বংশদ্ভুত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের সহযোগিতায়। বিনিয়োগের কোন পরিবেশ ছিল না বাংলাদেশে। বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে আসলেই তারেক রহমান আলাদা করে ১০ শতাংশ কমিশন চাইতেন। লুটপাট, অত্যাচার, অনাচার, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের তীর্থভূমি ছিল বাংলাদেশ। অথচ ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই বাংলাদেশের চেহারা পাল্টাতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও নিখাদ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ধীরে ধীরে সমস্যা কাটিয়ে উন্নয়নের মহাসড়কে সফলতার সঙ্গে চলছে। শেখ হাসিনা সরকারের অর্জনে ব্রিটিশ সরকার গর্বিত। তাই সব কিছু বিবেচনা করে ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!