শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

বঙ্গবন্ধু টানেলকে ঘিরে শিল্প বিপ্লবের স্বপ্ন


সিএইচটি টাইমস ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশের সময় :১৭ মার্চ, ২০১৯ ১:৩১ : অপরাহ্ণ 695 Views

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন রয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সড়ক সুড়ঙ্গপথ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’। কর্ণফুলীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ চট্টগ্রাম শহরের বন্দর এলাকার সঙ্গে নদীর অন্য তীরের আনোয়ারা উপজেলাকে সড়কপথে যুক্ত হবে। এ টানেল চালু হলে পর্যটন নগরী কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ হবে। পাশাপাশি কর্ণফুলীর দুই সেতুর ওপর যানবাহনের চাপ কমবে।
এরইমধ্যে এই প্রকল্পের ৩২ শতাংশেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নদীর তলদেশে টানেল খননের জন্য চীন থেকে আনা হয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। চীনের বাণিজ্য নগরী সাংহাইয়ের ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’র আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামকে। এ ধরণের উন্নয়ন কাজ বাংলাদেশে এবারই প্রথম। ‘কন্সট্রাকশন অব মাল্টি লেন রোড টানেল আন্ডার দ্য রিভার কর্ণফুলী’ প্রকল্পের আওতায় এটি নির্মিত হচ্ছে।
টানেলের প্রকৌশলীরা বলছেন, নদীর এই প্রান্ত থেকে আনোয়ারা প্রান্ত পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের খননে সময় লাগবে দুই বছর। খননের পর মাটি সরিয়ে বসানো হবে সিমেন্টের তৈরি সেগমেন্ট; সেগুলো চীন থেকে এরই মধ্যে পতেঙ্গা সী বিচ এলাকায় পৌঁছেছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি মাসে কাজের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২০ শতাংশ, আমরা করছি ৩০ শতাংশ। যে গতিতে কাজ এগোচ্ছে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আগামী ২০২২ সালেই এই টানেল দিয়ে গাড়ি চলবে।
টানেল নির্মাণকে কেন্দ্র করে কর্ণফুলী নদীর ওপারে বিনিয়োগ সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মুক্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে কর্ণফুলী নদীর ওপারে আংশিক চালু রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড। এর পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে কিছু শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে। টানেল নির্মাণের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সরকার আনোয়ারার একটি ইকোনমিক জোন স্থাপন করছে। এর পাশাপাশি চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ‘চায়না ইকোনমিক জোন’ বাস্তবায়িত হচ্ছে। শুধু তাই নয়; বঙ্গোপসাগর উপকূল ঘিরে পর্যটনে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচিত হবে ও ব্যাপক রাজস্ব আয় বাড়বে এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে।
বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের মাধ্যমে মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যোগাযোগে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এসব এলাকা ঘিরে পর্যটন, শিল্পায়ন ও বিনিয়োগে বিশাল বাণিজ্যিক সম্ভাবনা তৈরি হবে। নদীর ওপারে ভারী শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি এশিয়ান হাইওয়ে ও নতুন সিল্ক রুটে প্রবেশ করবে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম হয়ে উঠবে অর্থনৈতিক করিডোর।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!