এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ


সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১১ মে, ২০১৯ ৩:৪২ : অপরাহ্ণ 724 Views

স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে দেশের দুগ্ধশিল্প। পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বেকার সমস্যা দূর ও জ্বালানি সমস্যা সমাধানের মত ভূমিকা রাখছে এ খাত। আর জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশে এখন দুধের চাহিদা রয়েছে এক কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদন হয় ৭০ শতাংশ। বাকিটা আমদানির মাধ্যমে পূরণ হয়। গত ১০ বছরে দেশে দুধের উৎপাদন প্রায় চারগুণ বেড়েছে।

দেশে দুগ্ধ উৎপাদনে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ডেইরি খামার। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা উল্লেখযোগ্যভাবে না পেলেও নীরবে শিল্পটির বিকাশ ঘটছে। এখন দেশে রেজিস্টার্ড ও আনরেজিস্টার্ড মিলিয়ে দুধের খামার আছে ১২ লাখের মত। আর এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি লোক জড়িত। সরকারের পক্ষ থেকে দুগ্ধ শিল্পকে এগিয়ে নিতে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এলডিডিপি (লাইভ স্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট) নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে ঘাটতি আছে তা পূরণ করা সম্ভব।

দুধ উৎপাদনের জন্য সিরাজগঞ্জ, পাবনা, সাতক্ষীরা, নাটোর, যশোর, ঝিনাইদহ, চট্টগ্রাম প্রভৃতি জায়গায় বেশি খামার গড়ে উঠেছে। এছাড়াও দেশের প্রায় সব জেলায় এ ধরনের খামার করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে। বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ এমরান বলেন, ‘ দেশের মোট জাতীয় আয়ে (জিডিপি) দুগ্ধ শিল্পের অবদান সাড়ে তিন শতাংশ। সম্ভাবনাময়ী এ শিল্পের জন্য প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত পরিকল্পনা’।

দুধ উৎপাদনের খামার করতে এগিয়ে আসছেন অনেক শিক্ষিত মানুষ। রাজু আহমেদ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের জামিরতা গ্রামের একজন খামারি। পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের স্নাতকোত্তরের এ ছাত্র পড়াশুনার পাশাপাশি গাভী পালন করছেন। তিনি জানান, মা-বাবা ও এক ভাইকে নিয়ে আগে থেকেই গবাদি পশু পালন করলেও গত তিন বছর ধরে নিজের খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। খামারেরর উন্নত জাতের সাতটি গরুর তিনটি থেকে প্রতিদিন ৪০ লিটার দুধ পান তিনি। দুধ বিক্রি করে যে টাকা পান তা থেকে সাতটি গরুর খাবার কেনার পর কিছু অর্থ তিনি ব্যাংকে সঞ্চয় করতে পারেন। আর বাছুরগুলো বড় হলে বছর শেষে সেগুলো বিক্রি করে ভাল অংকের টাকা পাওয়া যাবে। এটাই বাড়তি লাভ বলে মনে করেন এ সফল খামারি।

এভাবেই তার মত অনেক শিক্ষিত যুবক দুধের খামার করছেন। ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশনের সদস্য সংখ্যা ৮১ হাজার। এরমধ্যে ৫০ হাজারের বেশি সদস্য স্নাতক পাস।

দেশিয় খামারিদের সঙ্গে এখন যুক্ত হচ্ছে দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কোম্পানিগুলো। এ খাতে গড়ে উঠেছে ৮টি বড় কোম্পানি। আগে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রামীণ জনগোষ্ঠী গতানুগতিক পদ্ধতিতে দুগ্ধ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত থাকলেও বতর্মানে তা বাণিজ্যিক আকার ধারণ করেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিমিটেড (মিল্কভিটা) অনেক আগে থেকে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত হলেও সম্প্রতি অনেক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে। প্রাণ, ব্র্যাক, আকিজের মত প্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে এগিয়ে আসছে।

দুধ প্রক্রিয়াকরণ কোম্পানিগুলো খামারিদের কাছ থেকে দুধ নেওয়া থেকে শুরু করে গাভীর চিকিৎসা, পরামর্শ দেওয়ার কাজ করছে। এতে দিন দিন খামার ও খামারির সংখ্যা বাড়ছে।

আগে বড় একটা সমস্যা ছিল, তা হল দুধ বিক্রি করা যেত না। গোয়ালারা দুধ নিলেও দাম কম পাওয়া যেত আবার সময়মত টাকাও পাওয়া যেত না। এখন বড় কোম্পানিগুলোর দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র গড়ে উঠায় এটা সহজ হয়েছে। কোম্পানিগুলো প্রতি সপ্তাহে খামারিদের টাকা পরিশোধ করে দেয়। দুধের ফ্যাট ও ননীর পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে তুলনামূলক বেশি দামে দুধ বিক্রি করতে পারেন খামারিরা। এছাড়া স্বল্প সুদে খামারিদের ঋণের ব্যবস্থা করে কোম্পানিগুলো।

দুধ দিয়ে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। কিছু সরাসরি আবার কিছু প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হয়। উৎপাদিত খাঁটি দুধ থেকে উচ্চমান সম্পন্ন শিশু খাদ্য, পাস্তুরিত তরল দুধ, মাখন, মিষ্টি, দই, পনির, ঘি, লাবাং, দুগ্ধজাত পানীয় ও খাদ্য পণ্য যেমন- চকোলেট মিল্ক, আম দুধ প্রভৃতি উৎপাদন করে ভোক্তাদের চাহিদা মিটানো হচ্ছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!