করোনাকালেও জিডিপি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ: এডিবি


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :২২ অক্টোবর, ২০২১ ১২:০৪ : পূর্বাহ্ণ 227 Views

বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে করোনাভাইরাসের অভিঘাত মোকাবিলা করেও ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে শিল্প কারখানা ও রফতানি খাত ঘুরে দাঁড়ানোয় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছে ৭ শতাংশের বেশি। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি বিবেচনায় নিয়ে এশীয় ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকও মনে করছে, বাংলাদেশ এই অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারায় ফিরবে। তাদের প্রাক্কলন— এই অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

শিল্প খাতের ঘুরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি সরকারের উৎপাদনবান্ধব নীতিমালার কারণেই এমন ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে বলে এডিবি মনে করছে।

এডিবির ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিল্পখাতে শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের কারণে এমন প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বাংলাদেশ। এছাড়া বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হচ্ছে এবং সরকারি উৎপাদন বান্ধব নীতিমালার কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে। মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বর্তমানের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে করোনাভাইরাস মহামারি।

বিজ্ঞপ্তিতে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, জীবিকা রক্ষায় জীবন বাঁচানোর জন্য সরকারের নীতিগুলো বাংলাদেশের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে, যা সাম্প্রতিক কঠিন সময়ে প্রশংসনীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি। বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, উদ্দীপক ব্যবস্থা এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির দক্ষ বাস্তবায়ন বাংলাদেশের এ অবস্থায় টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।

তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা, দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়া এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের উন্নতি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

মনমোহন প্রকাশ বলেন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং সামাজিক সুরক্ষা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক উদ্যোগ প্রশংসাযোগ্য। ব্যবসায়ের প্রতিযোগিতা, বিদেশি বিনিয়োগ, রফতানি বৈচিত্র্য, দক্ষতা উন্নয়ন এবং প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য ধারাবাহিক সংস্কার বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে উদ্দীপিত করবে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে ত্বরান্বিত করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডিবি বাংলাদেশে তার কর্মসূচির অগ্রাধিকার পুনর্বিন্যাস করেছে। স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা, দক্ষতা এবং গ্রামীণ উন্নয়ন, পানি ও স্যানিটেশন এবং অর্থ খাতের ওপর জোর দিচ্ছে। ২০২০ সালের প্রথম দিকে কোভিড -১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে সামাজিক সুরক্ষা, কর্মসংস্থান, ভ্যাকসিন সংগ্রহ এবং জরুরি ব্যবস্থাপনার জন্য ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার অনুমোদিত হয়েছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
April 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!