

গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বান্দরবান সদরে অবৈধ কাঠ চোরাচালান প্রতিরোধে বান্দরবান সেনা জোন একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।ওই অভিযানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ কাঠ জব্দ হওয়ার পর চক্রটি চরম চাপের মুখে পড়ে।অভিযানের পরের দিনই আবারও অবৈধ কাঠ স্থানান্তরের চেষ্টা করতে গিয়ে আরও একটি চক্র সেনাবাহিনীর টহল দলের হাতে ধরা পড়ে।শনিবার (৬ ডিসেম্বর) আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ চিহ্নিত কাঠ ব্যবসায়ী গাছ কামাল টাইগার পাড়া এলাকা সংলগ্ন ফানুস রিসোর্টের নিকট কথিত ডিপো থেকে কাঠ সংগ্রহ করে গোপনে কানা পাড়া,লাল মোহন বাগান, এলাকায় ট্রাকে করে স্থানান্তরের চেষ্টা করে।পরে ট্রাক থেকে কাঠ আনলোড করার মুহূর্তে বান্দরবান সেনা জোনের টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের হাতেনাতে আটক করে এবং ডাম্পিংয়ের পুরো কার্যক্রম ভেস্তে দেয়।পরবর্তীতে ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে বান্দরবান সদর বন বিভাগকে অবহিত করা হয়।বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে জব্দকৃত কাঠ যাচাই বাছাই করেন এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেন।বান্দরবান সেনা জোন প্রেসবিজ্ঞপ্তি তে আরও জানায়, “দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় ও অবৈধ কাঠ চোরাচালান দমনে সেনাবাহিনীর অভিযান ও নজরদারি অব্যাহত থাকবে।কোনো চক্রকেই ছাড় দেওয়া হবে না।” স্থানীয় জনগণ সেনাবাহিনী কতৃক দ্রুত পদক্ষেপ ও ধারাবাহিক তৎপরতাকে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ উল্লেখ করে বলেন,এসব অভিযান পাহাড়ি এলাকার বনসম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।এদিকে গেলো শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিশেষ অভিযানের খবর জানাজানি হবার পর আভিযানিক দল পৌছানোর আগেই টাইগার পাড়া এলাকা সংলগ্ন ফানুস রিসোর্টের নিকটবর্তী ওই কথিত ডিপো থেকে বিপুল পরিমান কাঠ সরিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয়রা জানান,বহু বছর ধরে চোরাই কাঠ ব্যবসায়ী হিসেবে বহুল পরিচিত কামাল হোসেন প্রকাশ গাছ কামাল দীর্ঘদিন যাবৎ চোরাই কাঠ পাচারে নেতৃত্ব দিচ্ছে।স্থানীয়রা আরও জানায়,যৌথখামার,নীলাচল সড়কে প্রতিনিয়িত অবৈধ ভাবে গাছ পাচারের ফলে পুরো এলাকাটি বৃক্ষ শূন্য হয়ে পড়ছে।এই অবৈধ কাঠ পাচার নিয়ন্ত্রন করছে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের উপজেলা পর্যায়ের দুই নেতা।যা প্রশাসন তদন্ত করলেই কারা পাচারে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং কোন দুই নেতার নেতৃত্বে এসব অবৈধ কাঠ পাচার হচ্ছে তা যথাযথভাবে বের হয়ে আসবে।স্থানীয়রা আরও জানায়,এই দুই নেতা রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে কয়েকবছর ধরে বান্দরবান সদরের মেঘলা, নীলাচল,যৌথ খামার,ডলুঝিড়ি পাড়া,মাঝের পাড়ার চা বোর্ড এলাকা, চেমীরমুখ,গোয়ালিয়া খোলা,রেইচা,টাইগার পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার গাছ কেটে বন উজার করা হচ্ছে।উজার করা এসব গাছ বন কর্তাদের ম্যানেজ করে ও বন বিভাগের দেয়া প্রহরা চৌকি পার হয়ে পূর্বনির্ধারিত গন্তব্যে পৌছে যায়।অসাধু বন কর্তাদের সমন্বয় না থাকলে এইভাবে বন উজার করতে পারতোনা কোনও চক্র এমনটাই মনে করেন স্থানীয় জনসাধারন।এই চোরাই কাঠ চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হয়।এছাড়াও বান্দরবানের ১২ মাইল সুকুমার রোড দিয়ে এসব অবৈধ গাছ যাচ্ছে বিভিন্ন অবৈধ ইটভাটায় পৌছে যাচ্ছে।বান্দরবান সদরের ইটভাটা বন্ধ থাকলেও তাদের গন্তব্য এখন সাতকানিয়া,লোহাগাড়াসহ বান্দরবান জেলার নিকটবর্তী চালু থাকা ইটভাটায় লাকড়ি হিসেবে পাচার করা।







