শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

পাহাড় কাঁটায় জেলা প্রশাসনের অভিযান,স্কেভেটর জব্দ


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৮ এপ্রিল, ২০২১ ৮:৪০ : অপরাহ্ণ 428 Views

বান্দরবানে পাহাড় খেকো ইয়াছিন অবশেষে প্রশাসনের জালে আটকা পড়েছে।শহরের আজুগুহা এলাকায় স্কেভেটর দিয়ে বিশালাকৃতির পাহাড় কাটার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাতেনাতে ধরা পড়েছে।রবিবার (১৮ এপ্রিল) কালাঘাটা গোদারপাড়-আজুগুহা এলাকায় গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালায় বান্দরবান জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায়।এসময় তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।অভিযানে একটি স্কেভেটরও জব্দ করা হয়েছে।পাহাড় খেকো ইয়াছিন দীর্ঘদিন যাবত বন ও পরিবেশ আইন অমান্য করে প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় বান্দরবানের আনাচে কানাচে পাহাড়,টিলা ও ফসলী জমির মাটি কেটে পরিবেশ ধ্বংস করে আসছিল।এরই ধারাবাহিকতায় রামজাদী এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার প্লট তৈরির জমি ভরাটের জন্য ১৫ লাখ টাকার মৌখিক চুক্তিতে সদরের গোদারপাড়-আজুগুহা এলাকায় ইয়াছিন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিশালাকৃতির পাহাড় কেটে আসছে।প্রতিদিন সাতটি ছোট ট্রাক (ডাম্পার) যোগে এসব মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রামজাদি এলাকায় আবাসন প্লট তৈরির কাজে।পাহাড় খেকো মোহাম্মদ ইয়াছিন ও রহিম পাহাড় কাটার কথা স্বীকার করে বলেন,জায়গার মালিকের সম্মতিতেই পাহাড়গুলো কাটা হচ্ছিল।রামজাদী এলাকায় চেয়ারম্যানের জায়গা ভরাটের জন্য ১৫ লাখ টাকায় চুক্তি হয়েছে তাদের।পরিবেশ অধিদপ্তর বা প্রশাসনের লিখিত কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি।তবে মোটামুটি সবার সাথে আলোচনা এবং দেখা স্বাক্ষাত করেই মাটি কাটা হচ্ছিল।স্থানীয়রা জানায়,প্রশাসনের নজরদারী থাকলে পাহাড় খেকোরা রাতের আধারে,আবার কোন কোন সময় দিনের বেলায় প্রকাশ্যে মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ চালানো হয়।মাঝে মধ্যে পাহাড় খেকোরা জেল-জরিমানার সম্মুখীন হলেও কয়েকদিন বিরতি দিয়ে আবারো তারা এই অপরাধে লিপ্ত হয়ে পড়ে।স্থানীয় থোয়াইনু মারমা,লাগ্যচিং সহ একাধিক বাসিন্দা জানান,প্রতিদিন একের পর এক মাটি বোঝাই গাড়ি চলাচলের কারণে গ্রামীণ রাস্তা ও কালভার্ট ভেঙ্গে যাচ্ছে।এছাড়া ধূলাবালিতে ফসল রক্ষা ও বাড়িতে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের পরিদর্শক আব্দুস সালাম বলেন,পাহাড় কাটার কোনো অনুমোদন নেই।কালাঘাটা,রামজাদী, আজুগুহা এলাকায় পাহাড় কাটার খবর পেয়েছি।কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করা হয়েছে।তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি মামলার প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে।এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান,পাহাড় কাটা আইনগত অপরাধ।পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির খবর পেয়ে প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একজনকে জরিমানা করেছে।পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার রয়েছে প্রশাসন।অভিযোগ পেলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!