শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

চাঞ্চল্যকর অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার আসামী ১০ বছর পর আটক


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১০ আগস্ট, ২০২২ ১১:৩৭ : অপরাহ্ণ 384 Views

আলীকদম উপজেলার শিলবুনিয়া এলাকার এক ১৬ বছরের কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে চট্টগ্রাম নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং পরবর্তীতে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ও টেকনাফে অজ্ঞাত বাড়িতে নিয়ে ৪/৫ জন দুস্কৃতিকারী কর্তৃক পালাক্রমে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামী সাদেক হোসেন মুন্না (৩২) কে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে র‌্যাব-৭। চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর থেকে ১০ বছর পালিয়ে ছিল এই ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী সাদেক হোসেন মুন্না।

অবশেষে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ০৯ আগস্ট ২০২২ইং রাত ২টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন মৌলভীরকুম বাজার এলাকা হতে বর্ণিত অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার পরোয়ানাভুক্ত ১নং এবং প্রধান আসামী সাদেক হোসেন মুন্না (৩২) কে আটক করতে সক্ষম হয়। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামী বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট আলীকদম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে বান্দরবান জেলার আলীকদম থানায় ১১জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছিল।

জানা যায়, ২০১২ সালে ভুক্তভোগী ভিকটিম ১৬ বছর বয়সের বান্দরবান জেলার আলীকদম থানার শিলবুনিয়া এলাকায় তার নানীর বাড়িতে থাকতেন। আসামী সাদেক হোসেন মুন্না প্রায়ই ভিকটিমের এলাকায় আসা যাওয়া করত এবং ভিকটিমের পরিচিত ছিল। গত ১৪ মার্চ ২০১২ইং বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে সাদেক হোসেন ভিকটিমকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে এবং বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে অসৎ উদ্দেশ্যে আলীকদম হতে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম নেয়ার পর সাদেক হোসেন ভিকটিমকে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে গত ১৫ ও ১৬ মার্চ ২০১২ইং দুই দিন ভিকটিমের ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে সাদেক হোসেন ভিকটিমকে প্রথমে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এবং পরবর্তীতে টেকনাফ থানার একটি অজ্ঞাত বাড়িতে কয়েককদিন আটকে রেখে উপর্যুপরী ধর্ষণ করে।

২১ মার্চ ২০১২ইং সাদেক হোসেন ভিকটিমকে কতিপয় দুস্কৃতিকারীর নিকট রেখে সেখান হতে চলে আসে। সাদেক হোসেন চলে আসার পর ৪/৫ জন দুস্কৃতিকারী ভিকটিমকে ২২ হতে ২৫ মার্চ ২০১২ইং পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভিকটিম কৌশলে একজন দুস্কৃতিকারীর মোবাইল হতে তার এক মামাকে সমস্ত ঘটনা অবহিত করে। ভিকটিমের মামা ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আসামীরা বিপদ বুঝতে পেরে গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিমকে টেকনাফ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে টেকনাফ থানার পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে বান্দরবান জেলার আলীকদম থানায় সাদেক হোসেন মুন্না কে প্রধান আসামী উল্লেখ করে মোট ১১জনকে আসামী করে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!