এই মাত্র পাওয়া :

আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস ও ‘জিরো টলারেন্স’


সিএইচটি টাইমস রিপোর্ট প্রকাশের সময় :১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ৪:১৭ : অপরাহ্ণ 649 Views

‘আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস।বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে এই দিবসটি পালন করে আসছে ২০১৭ থেকে। এর আগে ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম দেশে দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন শুরু করে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান দিবসটি সম্বন্ধে বলেন, ‘দুর্নীতি বৈশ্বিক সমস্যা বলেই বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালন হচ্ছে। এদেশে দিবসটি সরকারিভাবে পালন হতো না। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম এটি সরকারিভাবে পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার। দিবসটি সরকারিভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান আরও সুস্পষ্ট ও সুদৃঢ় হয়েছে।’

২০০৮ এর নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ২০০৮ এর আগে যে দল সরকারি ক্ষমতায় ছিলো, সেই সরকারের সময় দুর্নীতি এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, দেশ পর পর ৩ বার দুর্নীতিতে বিশ্বে প্রথম হয়। ফলে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকারের জন্যে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ দেখা দেয় দুর্নীতি রুখে দেওয়া। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে আধুনিকায়ন করা হয়। যুক্ত করা হয় দুর্নীতি সম্বন্ধে অভিযোগ জানানোর হটলাইন “১০৬”। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৩য় বারের মত নির্বাচনে বিজয়ের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করা হয়।
২০১৮ নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া তাঁর প্রথম ভাষণে দুর্নীতিবাজদের ‘শোধরানোর’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সেসময় অনেকেই শোধরাতে পারেনি বা চেষ্টা করেনি। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যেমন জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছি, ঠিক তেমনি দুর্নীতির বিরুদ্ধেও ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করলাম।’

প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার উপর ভিত্তি করে সরকারের জিরো টলারেন্স বাস্তবায়িত করতে ইতোমধ্যে দেশের ২৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মপ্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগত অনিয়ম-দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করতে দুর্নীতি দমন কমিশন ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করেছে। এছাড়াও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সততা ও নৈতিকতা চর্চার বিকাশে দেশের ২৮ হাজার ১৮৩টি স্কুল-কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে সততা সংঘ গঠন করা হয়েছে এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের অংশ হিসেবে দেশের ৩ হাজার ৬৫৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সততা স্টোর গঠন করা হয়েছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2025
MTWTFSS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর