এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

৯০ নয়, ২৩৮ কি.মি. পাতাল রেল হবে ঢাকায়


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :৫ মার্চ, ২০২০ ১:৪৫ : অপরাহ্ণ 483 Views

ঢাকা শহরে সাবওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন কাজে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা আছে ৩১৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

বুধবার শের-ই-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পাতাল রেলসহ চার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

ঢাকায় ৯০ কিলোমিটার পাতাল রেল নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও এখন তা বাড়িয়ে ২৩৮ কিলোমিটার করা হচ্ছে।

পাতাল রেল নির্মাণের সমীক্ষা কাজ স্পেনের টেকনিকা কোম্পানি পরামর্শকের কাজ করবে। বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, ঢাকার তলদেশ ও ভূমির বৈশিষ্ট্য পাতাল রেল (আন্ডারগ্রাউন্ড সাবওয়ে) নির্মাণের উপযোগী, যা জাপানের ওসাকা শহরের অনুরূপ। এ কারণে ওসাকা শহরের মতোই রাজধানীতে মাটির ২০ থেকে ২৫ মিটার গভীরে পাতাল রেল নির্মাণের পরিকল্পনা নিতে যাচ্ছে সরকার। প্রথমে ঢাকায় ৯০ কিলোমিটার পাতাল রেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন ৯০ কিলোমিটারের পরিবর্তে পুরো ঢাকায় ২৩৮ কিলোমিটার পাতাল রেল নির্মাণ করা হবে। ঢাকার মাটির ২০ থেকে ২৫ মিটার গভীরে পাতাল রেল ছড়িয়ে পড়বে জালের মতো। এজন্য সমীক্ষা ব্যয়ও বেড়েছে। প্রথমে মূল সমীক্ষা ব্যয় ছিল ২১৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

প্রথমে ঢাকার পাতাল রেল (সাবওয়ে) পথ নির্মাণের লক্ষ্যে চারটি রুট চিহ্নিত করেছিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। কিন্তু এখন চারটি রুটের পরিবর্তে ঢাকায় মাটির নিচের একাধিক পাতাল রেল রুট নির্মাণ করা হবে। এজন্য প্রাথমিকভাবে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি বা সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার।

২২৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সমীক্ষা পরিচালনা করার কথা থাকলেও ব্যয় বাড়ানো হলো। ১৮ মাসের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে এ সমীক্ষা ২০২০ সালের এপ্রিলে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এখন সমীক্ষা প্রকল্পের মেয়াদ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের আওতায় পাতাল রেলের অবস্থান, এলাইনমেন্ট ও দৈর্ঘ্য নির্ধারণ, জিওটেকনিক্যাল ইনভেস্টিগেশন ও ট্রাফিক সার্ভে পরিচালনার নকশা পরিবর্তনও করা হয়েছে। প্রাথমিক নকশা, ভূমি অধিগ্রহণ পরিকল্পনা ও আর্থিক বিশ্লেষণ করা হবে। এর পরেই বিশাল ব্যয়ের মেগা প্রকল্পটি গ্রহণ করবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, যা বাস্তবায়ন করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।

অতিরিক্ত ১৪৮ কি.মি. দৈর্ঘ্যের সাবওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন কাজের জন্য ভেরিয়েশন বাবদ ৯৮ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ২৪২ টাকা এবং মূল চুক্তি মূল্য ২১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ৮৩১ টাকা। সর্বমোট ৩১৭ কোটি ৫০ লাখ ১১ হাজার ৭৪ টাকায় সংশোধিত চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব সিসিজিপির অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ৩৬৫ কোটি ৮১ লাখ ৪৩ হাজার ৮১৫ টাকা ব্যয়ে ৪টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের পুনঃদরপত্র আহ্বানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে প্যাকেজ-১ এর আওতায় লট নম্বর- ১ ও ২ এর মাধ্যমে জিসিবি এলাকায় বার্থ নম্বর-৪ ও ৮ এ কার্গো হ্যান্ডলিং অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ৫ বছরের জন্য বার্থ অপারেটর (কার্গো) নিয়োগের একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ’কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ছয়না-যশোদল-চৌদ্দশত বাজার সংযোগ সড়ক নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।

প্রাথমিকভাবে ঢাকায় পাতাল রেলপথ (সাবওয়ে) নির্মাণের জন্য চারটি রুট চিহ্নিত করেছিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। প্রথম রুটের মোট দৈর্ঘ্য ছিল ৩২ কিলোমিটার। এটি টঙ্গী-কাকলী-মহাখালী–মগবাজার-পল্টন-শাপলা চত্বর-সায়েদাবাদ হয়ে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড পর্যন্ত।

দ্বিতীয় রুটের মোট দৈর্ঘ্য ছিল ১৬ কিলোমিটার। এটি আমিনবাজার-গাবতলী-আসাদগেট-নিউমার্কেট-টিএসসি-ইত্তেফাক মোড় হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত বিস্তৃত।

তৃতীয় রুটটি গাবতলী-মিরপুর ১-মিরপুর ১০-কাকলী-গুলশান ২-নতুন বাজার-রামপুরা টিভি স্টেশন-খিলক্ষেত-শাপলা চত্বর-জগন্নাথ হল হয়ে কেরাণীগঞ্জ পর্যন্ত যাওয়ার কথা।

চতুর্থ রুটটি রামপুরা টিভি স্টেশন-নিকেতন-তেজগাঁও-সোনারগাঁও-পান্থপথ-ধানমণ্ডি ২৭-রায়েরবাজার-জিগাতলা-আজিমপুর-লালবাগ হয়ে সদরঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ার কথা ছিল। এখন এসব নকশা বাতিল করে নতুন নকশায় হবে পাতাল রেলের সমীক্ষা।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!