এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

সাপকে বিশ্বাস করা যায়,কিন্তু মওদুদকে নয়


প্রকাশের সময় :২১ জানুয়ারি, ২০১৮ ৬:১১ : পূর্বাহ্ণ 842 Views

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-যতই বেগম জিয়ার দুর্নীতির মামলা শেষের দিকে আসছে,ততই বিএনপির কোন্দল আর অবিশ্বাস দানা বেঁধে উঠছে।বেগম জিয়া দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হলে কোন কোন নেতা ডিগবাজি দেবেন তা নিয়ে দলের মধ্যেই চলছে কানাঘুষা।এর মধ্যে যারা নির্বাচন নিয়ে বেশি কথা বলছেন,সন্দেহের তীর তাঁদের দিকেই সবচেয়ে বেশি।সন্দেহের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন যারা একেবারে চুপ করে আছেন।বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা দলের নেতাদের ‘কঠিন বার্তা’ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।কঠিন বার্তা হলো,তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।বিএনপির নেতাদের মধ্যে একমাত্র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একথা বলছেন।অন্যরা বলছেন,নানা ফাঁক ফোঁকর রেখে।২০ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘সুস্পষ্টভাবে নির্বাচন কালীন সরকারের ঘোষণা দিতে হবে।’ ব্যারিস্টার মওদুদ এর অন্য এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘আগামী নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে বিএনপি যাবে।আপনারা প্রস্তুতি নিন।‘ জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন কালে ব্যারিস্টার মওদুদ খালেদা জিয়াকে ‘আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে অভিহিত করেন।বেগম জিয়াও ব্যারিস্টার মওদুদের ওই মন্তব্যে খুশি হতে পারেননি।উল্টো তিনি মওদুদকে ডেকে বলেছেন, ‘আমি যে তিন বারের প্রধানমন্ত্রী সেটি না বলে আপনি আগামী দিন নিয়ে ভাবছেন কেন? ’ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের কথাবার্তা নিয়ে সন্দেহ প্রবল হচ্ছে।বিএনপির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন, ‘সাপকেও বিশ্বাস করা যায়,মওদুদকে নয়।’ এর কারণ ব্যাখ্যা করে ওই নেতা বলেন, ‘ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ দলবল আর ডিগবাজিতে এক নম্বর রাজনীতিবিদ।‘ বিএনপির এই শীর্ষ নেতা মনে করেন, ‘আগামী নির্বাচনে মওদুদকে আটকে রাখা কঠিন হবে।’একাধিক সূত্র বলছে,তাঁর গুলশানের বাড়ি ফিরে পাওয়া এবং নোয়াখালীর আসনের জয়ের নিশ্চয়তার শর্তে তিনি দল ভেঙ্গে নির্বাচনে যেতে রাজি আছেন।এনিয়ে তাঁর সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চলছে বলেও খবর আছে বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে।গত ১৯ জানুয়ারি ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদকে একজন জুনিয়র নেতা টেলিফোন করে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান।কিন্তু ব্যারিস্টার মওদুদ জানান ব্যস্ততার জন্য তিনি অনুষ্ঠানে যেতে পারছেন না।এরপর মনঃক্ষুণ্ণ ওই তরুণ নেতা বলেন ‘স্যার আপনার বিএনপি কবে আত্নপ্রকাশ করেছে?বিরক্ত হয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ ফোন রেখে দেন।বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, ‘ব্যারিস্টার মওদুদ একা নয়।বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতাই এবার খালেদা জিয়াকে ফেলে যাবেন।দিন যত যাচ্ছে ততই এই তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে।অনেক নেতাই এখন এলাকায় পুরোদমে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!