যে কারণে লন্ডনেই গ্রেফতার হতে পারেন তারেক রহমান!


সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৫ এপ্রিল, ২০১৯ ৯:০২ : অপরাহ্ণ 720 Views

রাজনৈতিক আশ্রয়ের নামে বাংলাদেশ থেকে হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করে লন্ডনে পলাতক জীবন যাপন করছেন বিএনপি নেতা তারেক রহমান। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের ভিত্তিতে ব্রিটিশ সরকার তদন্ত করলেও খুব বেশি কিছু উদঘাটন করতে পারেনি।

ধারাবাহিক তদন্তের ভিত্তিতে এবার তারেক রহমানের জ্ঞাতআয় বহির্ভূত ৬০ হাজার পাউন্ড জব্দ করেছে ব্রিটিশ সরকার। তারেকের সেই জব্দ কৃত অর্থ ফেরত চেয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বরাবর একটি দরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ।

জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের স্যানট্যান্ডার ব্যাংকে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের ব্যক্তিগত দুটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই দুটি একাউন্ট জব্দ করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের আদালত আদেশ দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকারের পররাষ্ট্র দফতরে অর্থ ফেরত চেয়ে আবেদন করেছে বাংলাদেশ সরকার।

জানা গেছে, দুদকের অনুমতি ক্রমে (পারমিশন) মামলার আবেদনে বলা হয়, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেশ থেকে অর্থ পাচার করে বিদেশে বিনিয়োগ করার অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, স্যানট্যান্ডার ব্যাংক ইউকে’তে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে তারেক রহমান এবং জোবায়দা রহমানের তিনটি ব্যাংক হিসাবে ৫৯ হাজার ৩৪১ দশমিক ৯৩ ব্রিটিশ পাউন্ড স্থানান্তর বন্ধ আছে এফআইইউ, ইউকের নির্দেশে। এই জব্দ কৃত অর্থ ফেরত চায় বাংলাদেশ।

বিট্রিশ পররাষ্ট্র দফতরের বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা যায়, এই টাকার জন্য ফেঁসে যেতে পারেন তারেক রহমান। লন্ডনে তারেকের স্যানট্যান্ডার ব্যাংকে টাকা স্থানান্তরের প্রক্রিয়া আটকে দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। দেশটির সরকার এই টাকার উৎস জানতে চেয়েছে তারেক রহমানের কাছে। কিন্তু এই ঘটনার দুই সপ্তাহ পরেও তারেক রহমান এখন পর্যন্ত টাকার উৎস জানাতে পারেনি। এই টাকার উৎস জানাতে না পারলে ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী তারেক রহমানের জেল-জরিমানা হতে পারে এমনকি রাজনৈতিক আশ্রয়ও বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী, ৫ হাজার পাউন্ডের বেশি অর্থ লেনদেন করতে গেলে আয়ের উৎস এবং প্রাপ্তির যথার্থতা যাচাই করতে হয়। তারেক রহমানের যে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে যে পরিমাণ টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল সেই টাকার উৎস সম্পর্কে তারেক কিছুই জানাতে পারেনি। শুধু তাই নয়, এবার কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে এসেছে। তারেক রহমান যে লন্ডনে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন, তার বিপুল পরিমাণ ব্যয় এবং তার রাজকীয় চলাফেরা সম্পর্কেও তদন্ত করছে ব্রিটিশ সরকার। তদন্তে যদি প্রমাণ হয় যে, তার এই আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই, তাহলেই গ্রেফতার হতে পারেন তারেক রহমান।

ব্রিটেনে এমন জ্ঞাতআয় বহির্ভূত উৎসের কারণে গ্রেফতার হওয়ার সংখ্যাও কম নয়। তবে ব্রিটেনে যোগাযোগ করে কূটনৈতিক সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, ব্রিটেনে মানি-লন্ডারিং আইনে গ্রেফতার হলে এই টাকা বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা নেই ব্রিটিশ সরকারের। পাশাপাশি তারেক রহমানকে এই অবৈধ অর্থের কারণে দেশে পাঠানোর ব্যাপারেও ব্রিটিশ সরকারের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা থাকবে না বলেও জানা গেছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!