এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

যে কারণে বিএনপির মুখে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য শোভা পায় না


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ৮:০০ : অপরাহ্ণ 657 Views

সম্প্রতি চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক কৌশল শুরু করেছে বিএনপি। অথচ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতার লোভে এবং ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে যেসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তা কেবল অগ্নিকাণ্ড নয়, অগ্নিসন্ত্রাসও বটে। ফলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা উঠেছে, যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের মুখে চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য শোভা পায় না।

এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সরকারকে দায়ী করে বিএনপি দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য দিচ্ছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে।

বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে জামায়াত-শিবির সমর্থকরা আগুনসন্ত্রাস সৃষ্টি করে প্রায় ৪১৯টি প্রধান ঘটনা ঘটায়। এতে ৪৯২ জন নিহত হয় এবং ২২০০ জন আহত হয়।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসের রাজত্ব শুরু করে। তারা সেসময় শত শত যানবাহন ভাঙচুর করে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় তাদের পেট্রোল বোমা, হাতে বানানো বোমা এবং অন্যান্য সহিংসতায় ২০জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।

২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি নির্বাচনের এক বছর পূর্তির দিন আবারও জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে সন্ত্রাসের রাজত্ব শুরু করতে চায় বিএনপি-জামায়াত জোট। ওই সময় ২৩১ জনকে হত্যা করে তারা। যাদের বেশিরভাগই পেট্রোল বোমা এবং আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায়। ওই ঘটনায় আহত হয় আরো ১ হাজার ১শ’ ৮০ জন। সেসময় ২,৯০৩টি গাড়ি, ১৮টি রেলগাড়ি এবং ৮টি যাত্রীবাহী জাহাজে আগুন লাগিয়ে হামলা চালায় তারা। ওই সময় হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় সরকারি অফিসগুলো। আর, বিএনপি-জামায়াতের ভাঙচুর এবং আগুনে পুড়ে ৬টি ভূমি অফিসসহ ৭০টি সরকারি কার্যালয় নষ্ট হয়ে যায়।

এমনকি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে অগ্নি দুর্ঘটনাও কম নয়। বিএনপি সরকারে থাকা অবস্থায় ১৯৯৫ সালে ইব্রাহিমপুরে লুসাকা অ্যাপারেলে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জন শ্রমিকের নির্মম মৃত্যুর পরও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে বিএনপির না থাকার কথা সবারই জানা। ২০০১ সালে মিরপুরে মিকো সোয়েটারে ২৪ জন শ্রমিকের মৃত্যুর পর বিএনপি সরকার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো দলীয় কর্মীদের দিয়ে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়। ১৯৯৬ সালের শুরুর দিকে প্রহসনের নির্বাচন দিয়ে জোর করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার কিছুদিনের ভেতর ঢাকার তাহিদুল ফ্যাশনে একটি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যেখানে ১৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়। একই বছর ১৯৯৬ সালে সানটেক্স লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষরা বলছেন, চকবাজারসহ এমন যেকোনো দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে সরকারকে দোষারোপ করছে। অথচ তারা ভুলে যায়, বিভিন্ন সময়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কত সংখ্যক মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে বিএনপি!

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!