এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

বিনিয়োগ আকর্ষণে এগিয়েছে বাংলাদেশ


সিএইচটি টাইমস অনলাইন প্রকাশের সময় :৬ অক্টোবর, ২০১৯ ৯:৩৩ : অপরাহ্ণ 556 Views

বাংলাদেশে এক বছরের ব্যবধানে এফডিআই বেড়েছে ৪০ শতাংশ। ২০১৮ সালে দেশে এর পরিমাণ ছিল ২০০ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এর আগের বছর এফডিআই বাবদ এসেছিল ১৪৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এক বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ কোটি ৫ লাখ ডলারে।

অর্থাৎ বিনিয়োগ আকর্ষণে এগিয়েছে বাংলাদেশ। অপরদিকে, এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি সহায়তা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। ২০১৭ সালে দেশে বিদেশি সহায়তা বাবদ আসে ৫৫৩ কোটি ডলার, ২০১৮ সালে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৯৮ কোটি ডলারে।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক ঋণ পরিসংখ্যান-২০২০ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বিদেশি বিনিয়োগে আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশি হওয়ার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, গত বছর জাপানি তামাক কোম্পানি জাপান টোব্যাকো (জেটি) বাংলাদেশের ইউনাইটেড ঢাকা টোব্যাকো কোম্পানি কিনে নেয়ায় এ বছর বেশি বিনিয়োগ এসেছে। জেটি ইউনাইটেড টোব্যাকো কিনতে খরচ করেছে ১৫০ কোটি ডলার। এ ছাড়া গত বছর বিদ্যুতেও বড় আকারের বিনিয়োগ পাওয়া গেছে। বস্ত্র ও পোশাক খাতে বিনিয়োগ এসেছে ১৩০ কোটি ডলার।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দশ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশে বিদেশি সহায়তা বেড়েছে সাড়ে চারগুণ। ২০০৮ সালে দেশে যেখানে বিদেশি সহায়তা বাবদ আসে ২০০ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার সেখানে ২০১৮ সালে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৯৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারে। সব মিলিয়ে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক সহায়তার স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২১২ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে বিশ্বব্যাপী ১২১ টি দেশে বিদেশি সহায়তার স্থিতি ১০ শতাংশ বাড়লেও বাংলাদেশে তা বেড়েছে প্রায় ৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা থেকে বাংলাদেশ তুলনামূলক বেশি সহায়তা পেয়েছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০১৪ সালে দেশে এফডিআই এসেছে ২২৫ কোটি ডলার, ২০১৫ সালে তা বেড়ে ২৪৩ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। ২০১৬ সালে এফডিআই আসে ২১২ কোটি ডলার। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ২০১৮ সালে এফডিআই বেড়েছে ৬ শতাংশ। প্রতিবেশী দেশ ভারতে গত বছর এফডিআই এসেছে তিন হাজার ৯৪০ কোটি ডলার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে ১০ বছর ধরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটা ধারাবাহিকতা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও রয়েছে। বিনিয়োগের জন্য এখন উপযুক্ত জায়গা বাংলাদেশ। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে এখন বিনিয়োগের অন্যতম এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এসব কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বেড়েছে। বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার পথে এই স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে শীর্ষ দশ ঋণগ্রস্ত দেশের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, থাইল্যান্ড ও তুরস্ক।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!