

রাজনীতি ডেস্কঃ-ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন,বিএনপি-জামায়াত আরেকবার ঘটি উল্টে দিতে পারলে প্রগতিশীলতার চিহ্ন মুছে ফেলবে।এজন্য ইন্দোনেশিয়ার মতো লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করতে দ্বিধা করবে না তারা।সামনে নির্বাচনের বছর এ কারণেই আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।গতকাল শুক্রবার তোপখানাস্থ ফেনী সমিতি মিলনায়তনে পার্টি এগারটি জেলা কমিটির দিনভর প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেনন এসব কথা বলেন।রাশেদ খান মেনন বলেন,যুদ্ধাপরাধের দায়ে নেতারা ফাঁসিতে ঝুলেছে, তারপরও জামাতের বিষ নামেনি।বিএনপি-র ঘাড়ে চড়ে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারও তারা মাঠে নামতে চায়।এজন্য এখন তারা সংগঠন গোছাচ্ছে।সময় এলে ছোবল মারবে।বিএনপি-জামাতের এই অশুভ আঁতাতের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তিকে অতীতের চাইতেও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ঐক্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আন্দোলন ও নির্বাচন করতে হবে তাদের।ওয়ার্কার্স পার্টি সেই ধারাবাহিকতায় আশু একুশদফা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। পার্টি কর্মীদের এ ব্যাপারে আরও গভীরভাবে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।জনগণের মধ্যে সর্বপ্রকার উপায়ে ঐ কর্মসূচিকে ছড়িয়ে দিতে হবে।পার্টির মতাদর্শ ও প্রশিক্ষণ বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করেন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ড.সুশান্ত দাস।বক্তব্য রাখেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নুর আহমদ বকুল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পাভেল ইসলাম,শরীফ শমসির। উপস্থিত ছিলেন পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হাসান।ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন বলেন,বিএনপি’র নির্বাচন কমিশনের সংলাপের বক্তব্যই আগামী দিনে তারা কি করতে চলেছে তার ইঙ্গিত দেয়।বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও দুর্নীতির মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে কেঁদে-কেটে জনগণের সহানুভূতি আদায় করতে চাচ্ছেন। বিএনপি নেতাদের ভাবখানই এমন যে ‘তিনবার’ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বলে তার বিচার করা যাবে না।এই বিচারহীনতার সংস্কৃতিই এ ধরনের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দুর্নীতিবাজ ও কর্তৃত্বপরায়ন করে তুলতে সাহায্য করছে। এসব বিচারকাজকে দীর্ঘায়িত করার যে কৌশল তারা নিয়েছে সেটাই প্রমাণ করে যে তারা অপরাধ আড়াল করতে চায়।এই সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে।মেনন তার বক্তৃতায় বলেন এজন্য ইন্দোনেশিয়ার মতো লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করতে দ্বিধা করবে না তারা।সামনে নির্বাচনের বছর এ কারণেই আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।তায় অক্টোবর বিপ্লব শতবার্ষিকী ১১ নভেম্বরের সমাপনী কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।১১ নভেম্বর বেলা ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঘোষণা পাঠ শেষে লাল পতাকা র্যালীর মধ্য দিয়ে ঐ কর্মসূচি শেষ হবে।