শিরোনাম: জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে এতিম শিক্ষার্থীদের সম্মানে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল বান্দরবানে জেলা পুলিশ আয়োজিত কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে শাক্যমিত্র অরন্য বৌদ্ধবিহার অনাথালয়ে মানবিক সহায়তা প্রদান করলো বান্দরবান সেনা জোন সুয়ালকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে গোল্ড কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর শুভ উদ্বোধন অনুপ্রবেশঃ বিজিবি স্কুলে আশ্রয় পেলো মিয়ানমারের ১৭৭ সীমান্তরক্ষীর মাহে রমজানে বান্দরবান সেনা জোনের উপহার পেলো দশ মাদ্রাসা ও এতিমখানা বান্দরবান সেনা রিজিয়নের উদ্যোগে মাহে রমজানের উপহার বিতরন রেংমিটচ্য ভাষা রক্ষায় দুর্গম ক্রাংসি পাড়ায় সেনাবাহিনী স্থাপন করলো ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র

নিমিষেই পুড়ে ছাই হলো বঙ্গবাজার


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :৫ এপ্রিল, ২০২৩ ২:০৫ : পূর্বাহ্ণ 139 Views

সব ধরনের তৈরি পোশাক ও পোশাক তৈরির কাটপিস সুলভ মূল্য পাওয়া যায় বলে রাজধানীর বঙ্গবাজারের পরিচিতি ছিলো দেশজুড়ে। শুধু রাজধানী নয়,সারাদেশ থেকেই ক্রেতার আসতেন এই বাজারে সস্তায় পছন্দের পোশাক কিনতে। এমনকি বিদেশি ক্রেতারও ভিড় করতেন।

রাজধানীর ফুলবাড়িয়ে এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবাজার মার্কেট। দেশে রপ্তানির জন্য তৈরি পোশাক কারখানা গড়ে ওঠার পর এই মার্কেটটি পরিচিতি পায় বেশি। মূলত তৈরি পোশাক বিক্রয়ের একটি বাজার হিসাবেই ক্রেতাদের কাছে সবচেয়ে পরিচিত ছিলো বঙ্গবাজার।

১৯৬৫ সালে জায়গাটি নানা ধরনের খুচরা পণ্যের হকার ও ছোট দোকানদারদের ব্যবসায় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। সে সময় ফুলবাড়িয়ার ঢাকার প্রধান রেলস্টেশন থাকায় বাজারটিও হালকা খাবার, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও স্যুভেনির বিক্রয়ের একটি আদর্শ স্থানে পরিণত হয়।

১৯৭৫ সালে ঢাকার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ টিনশেড ও অস্থায়ী কাঠামো ভেঙে দিয়ে সেখানে একটি পাকাবাজার গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ জায়গার মালিকানা ছাড়তে অস্বীকার করে। এ অবস্থায় দোকানমালিকরা রেল কর্তৃপক্ষ থেকে লিজ নিয়ে নিজ নিজ দোকান বসায়।

শেষ পর্যন্ত ১৯৮৫ সালে সিটি কর্পোরেশন জায়গাটির মালিকানা পায় এবং ১৯৮৯ সালের মধ্যে পরিকল্পিত পাকা বিপণি কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষ করে। নতুনভাবে তৈরি বাজারটির আয়তন ২১ হাজার ২৫০ বর্গফুট। অল্প সময়ে বাজারটি তৈরি পোশাকের বাজার হিসেবে পরিচিতি পায়।

বাজারটি বঙ্গবাজার নামে নিজ পরিচিতি অর্জন করলেও বস্তুত এখানে গুলিস্তান, মহানগরী ও আদর্শ হকার্স মার্কেট নামের অন্য তিনটি সংলগ্ন বাজারের দোকান একত্রে মিশেছে। এদের সীমানা এখন আলাদা করা কঠিন। বঙ্গবাজারে প্রায় আড়াই হাজার দোকান রয়েছে।

এই বিপুল সংখ্যক দোকানের কারণে বাজারটির ভেতরের সারিগুলো অপ্রশস্ত। সব দোকানেই মালামাল হাঁটার পথেও রাখা হয়। তারপরও প্রতিদিন বঙ্গবাজারে ভিড় করতেন দেশি-বিদেশি ক্রেতারা। দোকানিদের অনেকেই অল্প বিস্তর বিদেশি ভাষায় দক্ষ থাকেন।

প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্রেতা ছাড়াও খুচরা ও পাইকারি ভিত্তিতে পোশাক সামগ্রী কেনার জন্য এখানে আসে ভারত, নেপাল, ভুটান, রাশিয়া, ইরান ইত্যাদি দেশের ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী ক্রেতারা। এছাড়াও ঢাকায় কর্মরত বিদেশিদের কাছেও বাজারটির কদর ছিলো।

তবে ১৯৯৫ সালে এক ভয়াবহ আগুন দুর্ঘটনা দেশ-বিদেশে আরও ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করে বঙ্গবাজার। সেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছিলো গোটা বাজারটি। ভোরেরদিকে আগুন লাগার কারণে বেশিরভাগ দোকানই ছিলো বন্ধ এবং দোকান মালিকরা ছিলেন বাসায়।

বিশাল আগুনে গোটা বঙ্গবাজার ভস্মীভূত হয়ে যায় এবং ঘটনাটি দৈনিক পত্রিকা থেকে শুরু করে রেডিও-টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এরপর বাজারটিকে নতুন করে গড়ে তোলে। বঙ্গবাজার এবং সুন্দরবন কমপ্লেক্স নামে দুটি দশ তলা ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
March 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
26272829  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!