এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

নতুন পরিকল্পনায় ওরা


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ৪:৫৭ : অপরাহ্ণ 565 Views

ঘনিয়ে এসেছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেইসাথে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দেশ বিদেশের জঙ্গী সংগঠনগুলো। তারা সংগঠিত হওয়ার প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকেও সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে।

আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় ধরণের নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশবিরোধী, উগ্র সংগঠনগুলো। ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে দফায় দফায় বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন তারা। সূত্রমতে, এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে বিএনপি-জামায়াত জোট।

দেশি-বিদেশী বিভিন্ন গণমাধ্যমেও নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে জঙ্গী তৎপরতার বিষয়টি ওঠে এসেছে। ইতোমধ্যে বিএনপি মনোনীত প্রায় অর্ধশত প্রার্থীর ব্যাপারে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। এর সত্যতা স্বীকার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিসিটিসি) বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সার্বিক ব্যাপারে আমরা কিছু দিক-নির্দেশনা পেয়েছি। জঙ্গীবাদের ব্যাপারে আমরা শতভাগ তৎপর রয়েছি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াত আমলে দেশ জঙ্গীবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিলো। দেশকে পাকিস্তানের জঙ্গীদের ঘাঁটি করে গড়ে তুলতে তাদের মদদ দেয় বিএনপি-জামায়াত সরকার। বিরোধী মত দমনেও জঙ্গীদের ব্যবহার করে তারা। সেই আমলে দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে ঘটে যায় ন্যাক্কারজনক বোমা হামলা। একের পর এক চলতে থাকে গ্রেনেড হামলা। বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষরাই ছিল এসব হামলার টার্গেট। উদ্দেশ্য ছিল একটিই, দেশকে পাকিস্তানের মতো অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা।

অসংখ্য তথ্যপ্রমাণ থাকা স্বত্বেও তৎকালীন সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে এসব অভিযোগ নাকচ করে দেয়া হয়। যদিওবা বাস্তব চিত্র ছিল দিবালোকের মতোই স্পষ্ট। যেখানে সরকারের অন্যতম প্রধান শরীক ছিল উগ্র, ভ্রান্ত মতবাদের জামায়াত, সেখানে জঙ্গীবাদের বিস্তার তো ঘটবেই! হয়েছেও তাই।
তবে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ গ্রহণ করে। একের পর এক সফল সাঁড়াশী অভিযানে জঙ্গীবাদের ভীত নড়ে যায়। অভিযানে গ্রেফতারকৃত জঙ্গীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হয়। এছাড়াও ভুল ব্যাখায় বিভ্রান্ত হয়ে যারা ভিন্ন পথে যাচ্ছিলেন, তাদেরকে আলোর পথে ফেরাতেও নেয়া হয় নানা পদক্ষেপ। ফলে দেশে জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়।

কিন্তু নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশি-বিদেশী প্রভাবশালী শক্তির মদদে তাদের সংগঠিত হতে চেষ্টা করার খবরটি ভীতিকর। অন্যদিকে একটি জোট থেকে জঙ্গিবাদে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের মনোনয়ন প্রদানকে লজ্জাজনক হিসেবেও অভিহিত করেছেন বিশ্লেষকেরা।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!