এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দেশের জন্য সন্তানের এ মৃত্যুতে বাবা হিসেবে আমি গর্বিত


প্রকাশের সময় :১৬ জুন, ২০১৭ ১১:৩৩ : অপরাহ্ণ 742 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-দেশের জন্য সন্তানের এ মৃত্যুতে বাবা হিসেবে আমি গর্বিত।বললেন রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে নিহত সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন তানভীরের বাবা।তিনি (ক্যাপ্টেন তানভীর) হতাহতদের উদ্ধারে দুর্ঘনাস্থলে কর্মরত ছিলেন।ক্যাপ্টেন তানভীরসহ ৪ সেনা সদস্য এ দুর্ঘটনায় মারা যান।গত বুধবার বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে তাদের জানাজা হয়।এতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকসহ নিহতদের সহকর্মী,স্বজন এবং আরো অনেকে অংশ নেন।জানাজার সময় ক্যাপ্টেন তানভীরের বাবা বলেন,২০১১ সালে যখন আমার ছেলে সেনাবাহিনীতে কমিশন্ড প্রাপ্ত হয় তখন তাকে বলেছিলাম তোমাকে দেশের জন্য উৎসর্গ করে দিলাম।আমি জানতাম না আমার ২৭ বছর বয়সী ছেলে এতো দ্রুত দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করবে।ক্যাপ্টেন তানভীরের বাবার এ কথায় উপস্থিত সেনা সদস্যরা কেউই আবেগ ধরে রাখতে পারেননি।সবাই কেঁদেছেন।জানাজা শেষে মেজর মোহাম্মদ মাহফুজুল হক ও ক্যাপ্টেন মো:তানভীর সালাম শান্তর মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।বৃহস্পতিবার বনানীর সামরিক কবরস্থানে তাদের দাফন হবে।এছাড়া কর্পোরাল মোহাম্মদ আজিজুল হক ও সৈনিক মো:শাহিন আলমের মরদেহ হেলিকপ্টারে নিজ নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে সামরিক মর্যাদায় তাদের দাফন হয়েছে।টানা তিনদিনের প্রবল বর্ষণে সোমবার থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধস শুরু হয়।এতে পুরো এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক করতে এবং পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে বিভিন্ন সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা সোমবার থেকেই উদ্ধারকাজে অংশ নেন।মঙ্গলবার ভোরে রাঙামাটির মানিকছড়িতে একটি পাহাড় ধসে মাটি ও গাছ পড়ে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যায়।তাৎক্ষণিকভাবে রাঙামাটি জোন সদরের নির্দেশে মানিকছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ওই সড়কে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করে।সকালে উদ্ধারকাজ চালানোর সময় পাহাড়ের একটি বড় অংশ উদ্ধারকারী দলের ওপর ধসে পড়ে।এতে তারা মূল সড়ক থেকে ৩০ ফিট নিচে পড়ে যান।পরে একই ক্যাম্প থেকে আরো একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মেজর মাহফুজুল হক,ক্যাপ্টেন তানভীর সালাম শান্ত,কর্পোরাল আজিজুল হক ও সৈনিক শাহিন আলমকে মৃত এবং ১০ সেনা সদস্যকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আনা হয়েছে।পাহাড় ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫১ জনের মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।

 

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!