এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তিশালী অবস্থানে বাংলাদেশের অর্থনীতি


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :৫ মার্চ, ২০২১ ৭:৫৬ : অপরাহ্ণ 341 Views

বাংলাদেশের ক্রমাগত রফতানি প্রবৃদ্ধি ও সার্বিক অর্থনীতির তেজিভাবের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার বুল বা ষাঁড় বলে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বিষয়ক পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। বুধবার পত্রিকাটিতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনামের সফল উন্নয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের মিল রয়েছে বলে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পত্রিকাটির বাণিজ্যবিষয়ক প্রতিবেদক মাইক বার্ড। খবর অনলাইনের।

‘ষাঁড়’ বা বুল কথাটা ব্যবহার করা হয় মূলত শেয়ারবাজারে তেজিভাব বোঝাতে। বাংলাদেশের ক্রমাগত রফতানি প্রবৃদ্ধি ও সার্বিক অর্থনীতির তেজিভাবের কারণেই মূলত এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন প্রতিবেদক মাইক বার্ড। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক দশকে ডলারে বাংলাদেশের রফতানি ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে রফতানি প্রবৃদ্ধি কমেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের। বাংলাদেশের রফতানিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে তৈরি পোশাক খাত। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে আরো বলা হয়, নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ, বাংলাদেশের আরও অগ্রগতিকে বুঝায়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ভিয়েতনামের সফল উন্নয়নের যে মডেল দৃশ্যমান, বাংলাদেশকেও এখন একই কাতারে দেখা যাচ্ছে। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের সুপারিশ করেছে। এ ঘটনাকে বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে মার্কিন প্রভাবশালী পত্রিকাটি। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ ঘটে উন্নয়নশীল দেশের কাতারভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ, যদিও এ তালিকায় আসন পাকাপাকি করতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে নিবন্ধে এটিও বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের রফতানি প্রবৃদ্ধি ভিয়েতনাম বা কম্বোডিয়ার চেয়ে এখনো বেশ কম। ওই দেশ দুটিতে গত ১০ বছরে রফতানি প্রবৃদ্ধি তিন গুণের বেশি হয়েছে। ২০০০ সালের দিকে ভারতেও রফতানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছিল। এরপরে তা স্থবির হয়ে পড়ে। তাই, রফতানি বাড়তেই থাকবে এটি নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে মাইক বার্ড এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এই অগ্রগতিকে ধরে রাখতে কিছু বিষয়ে সুপারিশও করেছেন। তার মতে, ভিয়েতনামের মতো বাংলাদেশের উচিত আরও উঁচু মানের উৎপাদন ও রফতানি প্রক্রিয়ার দিকে মনোযোগ দেয়া। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনও তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল। বাংলাদেশের উন্নয়নের পেছনে আরও কিছু কারণ আছে বলে মনে করছে মাইক বার্ড। সেগুলো হলো সংখ্যাগরিষ্ঠ তরুণ জনগোষ্ঠী, প্রতিযোগিতামূলক মজুরি, শক্তিশালী ও ক্রমবর্ধমান নারী শ্রমশক্তি দক্ষিণ এশিয়ায় এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। স্বাধীনতার পর প্রায় ৫০ বছর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর এই উপগ্রুপে ছিল। এই উত্তরণর ফলে বাংলাদেশ অবশ্য কিছু অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যসুবিধা হারাবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!