এই মাত্র পাওয়া :

ড. কামালের হুইল চেয়ার এবং সহানুভূতি অর্জনের একটি গল্প


প্রকাশের সময় :২৯ অক্টোবর, ২০১৮ ৪:১৭ : অপরাহ্ণ 742 Views

বান্দরবান অফিসঃ-জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে দেশের দুটি বিভাগে সমাবেশ করেছেন নবগঠিত জোটটির নেতারা। জোটের প্রধান কান্ডারি হিসেবে অবতীর্ণ হওয়া গণফোরাম সভাপতি ড. কামালকে নিয়ে সিলেটে অনুষ্ঠিত ঐক্যফ্রন্টের প্রথম সমাবেশের পর বিভিন্ন হাস্যকর ঘটনা নিয়ে ‍শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। আর তা ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের পাতায় পাতায়।

সিলেটে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম সমাবেশে মঞ্চে ওঠার আগ পর্যন্ত ড. কামাল ছিলেন হুইল চেয়ারে বসা। এরপর তাকে ৮ থেকে ১০ জন নেতাকর্মীর মাধ্যমে মঞ্চে ওঠানো হয় এবং সমাবেশ শেষে মঞ্চ থেকে পুনরায় হুইল চেয়ারে বসানো হয়। সেই ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় নানা মন্তব্য এবং সমালোচনা। কিন্তু কেন এই হুইল চেয়ার? কেনই বা হুইল চেয়ারটিকে নিয়ে সব সময় চলাফেরা করেন ড. কামাল।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা আ.স.ম আব্দুর রবের সঙ্গে। তিনি বলেন, ড. কামালের হুইল চেয়ারটি যেনো তেনো চেয়ার নয়। এ চেয়ারে আছে অত্যাধুনিক বডি ম্যাসাজ সুবিধা। ড. কামালের বয়স হয়েছ। তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা হয়। আর এ ব্যথা নিরাময়ে এই চেয়ারের ম্যাসাজ ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া তার আশেপাশের মানুষের কাজকর্ম মনিটরিং করার জন্যই চেয়ারে গোপন ক্যামেরা বসানো রয়েছে। মানুষকে তো আজকাল বিশ্বাস করা যায় না!

ড. কামালের চেয়ারে গোপন ক্যামেরা বসানোর বিষয়ে সিনিয়র আইনজীবী বাসেত মজুমদার বলেন, হুইল চেয়ারে গোপন ক্যামেরা থাকা রীতিমতো ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। এই ক্যামেরায় রেকর্ড করা তথ্য দিয়ে ড. কামাল অনায়াসে যে কাউকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারেন। বিষয়টি উদ্বেগজনক।

ইতিমধ্যে ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা ড. কামালের চেয়ারে গোপন ক্যামেরা বসানো নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। তারা বলছেন, ড. কামাল প্রথমে আওয়ামী লীগ করতেন। বর্তমানে তিনি ঐক্যফ্রন্টের নেতা হলেও বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের গুণগান গাইছেন। যার কারণে আমরা দ্বিধায় ভুগছি। সম্ভবত ড. কামাল গোপনে সরকারি দলের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। এর কারণেই তিনি হুইল চেয়ারে গোপন ক্যামেরা বসিয়েছেন।

এদিকে ড. কামালের হুইল চেয়ারে বসা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাসিঠাট্টার জোয়ার বইছে। আরিফুল ইসলাম নামের একজন তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, একজনকে মঞ্চ থেকে নামাতে যদি ৮ জন লাগে, সেই একজন কিভাবে ১৭ কোটি লোককে পরিচালিত করবে? জীবন স্বপ্ন নয়। ক্ষমতার স্বপ্ন দেখা যায়, কিন্তু ক্ষমতা পরিচালনার স্বপ্ন দেখা বোকার স্বর্গে বাস। তিনি আরও লিখেছেন, তবে এমনও হতে পারে ড. কামাল কেবল সাধারণ মানুষের সহানুভূতি অর্জনের আশায় এমন কৌশল অবলম্বন করছেন।

অন্যদিকে হুইল চেয়ারের ব্যবহার নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন। অনেকেই বলছেন, হুইল চেয়ার ব্যবহার করার কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। ওই সুবিধাগুলো নিতে তিনি চেয়ার ব্যবহার করছেন।

এ প্রসঙ্গে আকমল আকন্দ হুইল চেয়ার ব্যবহারের বিষয়ে স্ট্যাটাসে কয়েকটি সুবিধার কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন,

প্রথমত, ক্লান্তি কম অনুভূত হবে। দীর্ঘ সময় সজাগ থাকতে পারবেন।

দ্বিতীয়ত, দ্রুত চলাফেরা করতে পারবেন। তাতে সময়ের অপচয় কম হবে।

তৃতীয়ত, সহজেই রাষ্ট্রবিরোধী যেকোন লিফলেট-পোস্টার বহন করা সহজ হবে। কোন তল্লাশিই রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে পারবে না।

এদিকে ড. কামালকে নিয়ে এমন হাসি তামাশার বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিষয়গুলো সত্যিই হাস্যকর। তবে একেবারে ফেলে দেয়ার মতো নয়। ষড়যন্ত্র কোথায়, কখন, কিভাবে হয় তাতো বলা যায় না। ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন হতে হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2025
MTWTFSS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর