জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাপরিচালকের প্রশংসাসূচক পত্র পেলেন


অনুলেখকঃ- লুৎফুর রহমান (উজ্জ্বল) প্রকাশের সময় :১৭ মে, ২০২২ ১০:০৪ : অপরাহ্ণ 1669 Views

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দক্ষতার সাথে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একজন মানবিক জেলা প্রশাসক হিসেবে সমগ্র বাংলাদেশজুড়ে সুখ্যাতি পেয়েছেন।যেকোনও অসহায় মানু‌ষের বিপদের খবর পাওয়া মাত্রই তিনি সেসব বিপদগ্রস্থ মানু‌ষের পাশে দাড়িয়ে সাধ্যমতো সহযোগিতা করার চেষ্টা করেন।অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীর জ্ঞান চর্চা এবং শিক্ষা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে নিজ উদ্যোগে ভর্তি সহায়তা,বই থেকে শুরু করে নানা ধরনের সহায়তা দিয়েছেন।এর পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন এর আঁতুড়ঘর বান্দরবানের পর্যটন কে নিয়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং পর্যটন স্পটের সৌন্দর্য ও সেবার মান বৃদ্ধিতে নিত্যনতুন স্থাপনা তৈরি করেছেন।দেশখ্যাত পর্যটন স্পট নীলাচলে ব্র্যান্ডিং বান্দরবান কিংবা মেঘলায় স্থাপিত ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার এর মতো বিষয়গুলো জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি’র দূরদর্শী চিন্তাভাবনার ফসল বলেই মনে করে বান্দরবানের পর্যটন সংশ্লিষ্ট মানুষরা।পর্যটনের প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকেই বান্দরবানের পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে নিজেই সতেরোশ শব্দের একটি আর্টিকেল লিখেছেন জেলা প্রশাসক,বান্দরবান।এতসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন সহজ কোনও বিষয় নয় কিন্তু অমায়িক আচার ব্যবহার দিয়ে বান্দরবানের আপামর সকল জনগোষ্ঠীর মন জয় করে নিয়েছেন।সরকারের সকল কার্যক্রম গুলো অত্যন্ত সহজ এবং সরল বার্তায় জনসাধারণের কাছে পৌছে দিয়েছেন।ফলাফলও তিনি পেয়েছেন এবং এইক্ষেত্রে সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ নিয়ে সারাদেশের অনেক জেলা ও উপজেলা যখন প্রতিনিয়ত সংবাদের শিরোনামে অবস্থান করছে ঠিক তখন বান্দরবান জেলায় সরকারের এই মেগা প্রকল্পটি নিয়ে বড় কোনও প্রশ্ন কোনও মহল তুলতে পারেনি।তড়িৎ কর্মা এই জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বান্দরবানের আপামর জনসাধারণের মন যেভাবে জয় করে নিয়েছেন কুশলী দূরদর্শী চিন্তাভাবনা ও সিদ্ধান্ত দিয়ে একইভাবে সরকারের অনেক ক্যাবিনেট সচিব ও অতিরিক্ত সচিবরাও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির দক্ষতা নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমূখ।এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান সম্প্রতি বান্দরবান সফর শেষে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি কে প্রশংসাসূচক আধা সরকারি পত্র পাঠান।১২ মে ২০২২ তারিখে মহাপরিচালক সাক্ষরিত দুইশো শব্দের চিঠিতে লেখা প্রশংসা বার্তা সিএইচটি টাইমস ডটকম পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলোঃ—
…………………………………………………………
“মাঠ পর্যায়ে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আপনি জেলা প্রশাসক হিসেবে জেলার সকল বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।বান্দরবান বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন সমৃদ্ধ জেলা।জেলা প্রশাসকের ব্যবস্থাপনায় অন্যান্য পর্যটন স্পটের পাশাপাশি মেঘলা,নীলাচল,চিম্বুক,বগালেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত স্পটগুলোকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করা এবং পর্যটকদের জন্য বিশেষ সুবিধা এবং সেবা/সার্ভিস নিশ্চিত করার জন্য আপনার গৃহীত পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসনীয়।বান্দরবানের পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য আপনার নিত্য নতুন ভাবনা, পরিকল্পনা,উদ্যোগ এবং কার্যক্রম আমাকে মুগ্ধ করেছে।

জেলার নৃগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে আপনি প্রতি নিয়ত কাজ করছেন।অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আয়ের পথে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করছেন।কলাগাছের বাকলের তন্তু দিয়ে পাটের বিকল্প সুতা তৈরি করার অভিনব উদ্ভাবনের যে উদ্যোগ আপনি গ্রহণ করেছেন সেটি পার্বত্য এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।এছাড়া পাহাড়ে আদা,হলুদ, আম,লিচু,কাজু বাদাম, আনারস,ওলকচু,ভেষজ উদ্ভিদ,ফল চাষাবাদের সম্ভাবনাকে সর্বোত্তম ব্যবহাররের বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।

আপনি অন্যান্য কাজের সাথে “ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন,২০০৯” এর আওতায় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি হিসেবে “ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন,২০০৯” বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও সকল কার্যক্রম নিবিড়ভাবে সমন্বয় করছেন।ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনায় আপনার সক্রিয় সহযোগিতা বহুল প্রশংসিত হয়েছে।আপনার পর্যটন শিল্প বিকাশে অগ্রনী ভূমিকা রাখাসহ পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে আপনার প্রতিনিয়ত পদক্ষেপ এবং চিন্তাভাবনার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।পরিশেষে আপনার ও আপনার অন্যান্য সহকর্মীদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
………………………………………………………
এদিকে মঙ্গলবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় ডিসি বান্দরবান ফেসবুক আইডি তে চিঠিটি প্রকাশ করা হয় এবং চিঠির প্রতিউত্তর হিসেবে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি ৮০ শব্দের একটি স্যোশাল স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন।সিএইচটি টাইমস ডটকম পাঠকদের বিবেচনায় নিয়ে অনলাইন দৈনিক সিএইচটি টাইমস ডটকম স্ব-উদ্যোগে স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরলোঃ–

বান্দরবান পার্বত্য জেলার আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা এগ্রোট্যুরিজম, ইকো-ট্যুরিজম ও কমিউনিটি ট্যুরিজম বিকাশে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মানিত মহাপরিচালক জনাব এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান স্যার সম্প্রতি বান্দরবান সফর করে জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো দর্শন করে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে প্রশংসাসূচক আধা-সরকারি পত্র প্রেরণ করেছেন। একজন সিনিয়র স্যারের নিকট থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে জেলা প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্কে প্রাপ্ত এ মূল্যায়ন এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে আমাদের আরো বেশি দায়িত্বশীল ও অনুপ্রানিত করবে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর সম্মানিত মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান প্রেরিত পত্রটি জনস্বার্থে সংযুক্ত করা হলোঃ-এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (আরডিসি) মো.কায়েসুর রহমান সিএইচটি টাইমস ডটকম কে বলেন,বান্দরবানের সম্মানিত জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি মহোদয় জেলা প্রশাসক হিসেবে বান্দরবান জেলায় দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১৬ মাসে বান্দরবান জেলা প্রশাসন একটি জনবান্ধব ও সেবাবান্ধব জেলা প্রশাসন হিসেবে সর্বমহলে পরিচিতি লাভ করেছে।খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই জেলা প্রশাসন,কার্যালয় কে দক্ষতার সাথে সেবাপ্রার্থীদের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন।পাশাপাশি সম্মানিত জেলা প্রশাসক বান্দরবানের পর্যটন কে এগিয়ে নিতে নানাভাবে বিভিন্ন ফোরামে কথা বলেছেন।সরকারের উচ্চপর্যায়ে কথা বলে নানাবিধ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছেন।এই ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন আওতাভুক্ত পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছেন।জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা,সমস্যা এবং বহুল আকাঙ্ক্ষিত সমাধান নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে প্রতি বুধবার গণশুনানিতে অংশগ্রহণ করে জেলার শতশত মানুষের নানাবিধ সমস্যার কথা খুব কাছ থেকে শুনে শুনে সিটিজেন চার্টার কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দিয়েছেন।

অনেক সময় মানবিক বিবেচনায় নিজ অর্থায়নে অনেকের পাশেও দাড়িয়েছেন।এরই একটি উদাহরণ,গত ১ এপ্রিল হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের অধীন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মি.শিশির চক্রবর্তী (৪৪) পরলোকগমন করেন।মৃত্যুকালে স্ত্রী ও দু সন্তান রেখে মৃত্যুবরণ করলেও তার পাশে কেউ ছিলোনা।এমনকি সৎকারের ব্যবস্থা করতেও পরিবার অনীহা ছিলো।প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত থাকায় প্রকল্পের লোকজনও এম্বুলেন্স পরিবহণ ও সৎকারের জন্য খুব একটা সাহায্য করছিলো না।এ অবস্থায় বিষয়টি মান্যবর জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি মহোদয়ের নজরে আসার সাথে সাথেই তিনি বান্দরবান সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গনে ছুটে যান এবং শিশির চক্রবর্তীর সৎকার কার্যক্রম সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য স্বেচ্ছায় ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন।বিষয়টি হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্ট জানার পর সম্মানিত জেলা প্রশাসক মহোদয়কে সেসময় একটি প্রশংসাসূচক পত্র দিয়ে সম্মান জানিয়েছিলো।পবিত্র মাহে রমজানের সময় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে বান্দরবান জেলার বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় অসহায় হতদরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইফতার সামগ্রী পৌছে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।এইক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক এর কঠোর নির্দেশনা ছিলো ডোর টু ডোর এই ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দিতে এবং সেভাবেই জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে সেই ইফতার সামগ্রী পৌছে দেয় বান্দরবান জেলা প্রশাসন।

সম্প্রতি রিখা দাশ নামে একজন স্তন ক্যান্সার আক্রান্ত নারীর চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতে সম্মানিত জেলা প্রশাসক মহোদয় সমাজসেবা কার্যালয় এর প্রধান কে সরাসরি মোবাইল ফোনে নির্দেশ দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে মো.কায়েসুর রহমান আরও বলেন,খুব দ্রুত সময়ে ওই নারী ৫০ হাজার টাকার একটি অনুদান পেয়েছিলেন।সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় ওই নারী চট্টগ্রামে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিধায় তাঁর বড় বোন শিখা দাস অনুদানের চেক গ্রহণ করার পরপরই জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে এসে রিখা দাশের পরিবারের পক্ষে সম্মানিত জেলা প্রশাসক মহোদয় কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এসময় তিনি আরও বলেন,বান্দরবানের সম্মানিত জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি’র সুদক্ষ দিকনির্দেশনায় বেশকিছু জনবান্ধব সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে দেশজুড়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসন এর একটি সুনাম ছড়িয়েছে।সুনামের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার স্বার্থে বান্দরবান নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।জেলা প্রশাসন,বান্দরবান কে নিয়ে আজকে সাধারণ মানুষের মনে একটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে বলে আমরা নানাভাবে শুনতে পাই।ইতিবাচক এই প্রতিক্রিয়া কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই বান্দরবান এর সম্মানিত জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সার্বিক দিকনির্দেশনায় সামনের দিনগুলোতেও জেলা প্রশাসন বিগত সময়ের ন্যায়  কাজ করে যাবে।এইক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের উদ্যোগ ও উদ্ভাবনগুলো সফলতার সাথে বাস্তবায়ন এবং যেকোনও উদ্যোগ সামনের দিকে এগিয়ে নিতে জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা ও সামগ্রিকভাবে পুরো বান্দরবান জেলা প্রশাসন নিরলসভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
April 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!