এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

জামায়াতে ‘না’ বিএনপির তৃণমূলের


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ৩:৫৮ : অপরাহ্ণ 874 Views

যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দলগতভাবেই তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে ছিল। পাক হানাদার বাহিনীর দোসর এ দলটি চালিয়েছে নির্মম হত্যাযজ্ঞ। জামায়াতের নেতৃত্বেই গঠিত হয়েছিলো আলবদর, আলশামস বাহিনী। এসব বাহিনী বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদদের ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

মানবতাবিরোধী এসব অপরাধে ইতোমধ্যে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা ঝুলেছেন ফাঁসিকাষ্ঠে। নিবন্ধন বাতিল হওয়া দলটির নেই তেমন কোনো জনসমর্থনও। তার উপরে ২০১৪-১৫ সালের আগুনসন্ত্রাসের কলঙ্ক তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাদের।

সবমিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি জামায়াতের জন্য মোটেই সুখকর নয়। কেন্দ্রীয় বিএনপির সাথে মিলে কোনোমতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখছে বাংলাদেশবিরোধী এ দলটি। পাকিপ্রেমী দলটি অবশ্য এবারের নির্বাচনেও চেয়েছিলো কমপক্ষে ৫০টি আসন। তবে বহু দেনদরবারের পরে জুটেছে মাত্র ২৫টি। তাও লন্ডনে থাকা তারেকের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ পাঠাতে হয়েছে সব প্রার্থীকেই।

এতকিছুর পরেও যেন বিএনপির তৃণমূলের ‘কোথাও কেউ নেই’ জামায়াতের। বরং বিএনপির তৃণমূল জামায়াতের বিরুদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা আর কোনোভাবেই জামায়াতকে মেনে নিতে পারছেন না।

প্রতিদিনই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘জামায়াত হটাও’ দাবিতে উঠছে স্লোগান। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কথা হয় তৃণমূলের কিছু কর্মীর সাথে। পাবনা বিএনপির এক কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘জামায়াতের সাথে জোট করায় জনগণ আমাদের পরিহাস করে। আর স্বার্থপর জামায়াত কখনোই বিএনপির প্রয়োজনে পাশে থাকেনি। আমাদের নেত্রী কারাবন্দী হবার পরে জামায়াত একদিনের জন্যও রাস্তায় নামেনি। অথচ তাদের নেতাদের বেলায় ঠিকই নেমেছিলো। তবুও বিভিন্ন আসনে বিএনপি প্রার্থীদের বঞ্চিত করে জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে। বিএনপির ত্যাগী নেতারা এতে অবমূল্যায়িত হচ্ছেন। ত্যাগের কি তাহলে কোন দাম নেই!

বগুড়া বিএনপির এক কর্মী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের জামায়াত কীভাবে কিনে নেয়, তা আমরা জানি। সবতো আর বলা যায় না! তবে এবার তৃণমূল আর ছাড় দিবে না। আমরা এখনও দাবি জানাই জামায়াতকে কোনো ছাড় না দেয়ার। তারপরেও যদি ছাড় দেয়া হয়, তাহলে তৃণমূল এবার কেবল প্রতিবাদই নয়, প্রতিরোধও করবে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সারাদেশের বিএনপির তৃণমূলেই একই অবস্থা বিরাজ করছে। তারা জামায়াতকে মেনে নিতে পারছেন না। চলমান পরিস্থিতে বিশ্লেষকেরা যেকোনো সময়ে জামায়াত-বিএনপির তুমুল সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!